উড়োজাহাজের কোনো যাত্রী মাস্ক পরতে বা স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে আপত্তি জানালে তাকে নামিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

শুক্রবার (৩ জুন) দিল্লির হাইকোর্ট এ নির্দেশ দেয়। আদালতে বিচারপতি হিসেবে ছিলেন বিপিন সাংঘি ও শচীন দত্ত। খবর এনডিটিভি।

সম্প্রতি ভারতে আবারও বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। বৃহস্পতিবার ভারতজুড়ে করোনায় নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এ পরিস্থিতিতে বিমান যাত্রীদের জন্য কভিডবিধি মেনে চলা বাধ্যতামূলক করার বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করে দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ)।

সেই আবেদনের শুনানি শেষে ডিজিসিএ’র উদ্দেশে আদালত বলে, বিমানযাত্রীদের অবশ্যই কভিডবিধি যথাযথভাবে মানতে হবে এবং তা শুধু বিমানবন্দরেই নয়, বিমানের অভ্যন্তরেও। কোনো যাত্রী কভিডবিধি না মানতে চাইলে প্রয়োজনে তাকে বিমান থেকে নামিয়ে দেবেন।

এমনকি নিয়মিত বিমানে চলাচলকারী কোনো যাত্রী বারবার কভিডবিধি অমান্য করলে তাকে ‘নো-ফ্লাই’ তালিকায় রাখারও নির্দেশনা দিয়েছে আদালত।

ভারতে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি, কেরালা রাজ্যে। তারপর থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৪ কোটি ৩১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৯৯ জন এবং মারা গেছেন ৫ লাখ ২৪ হাজার ২৫১ জন।

চলতি বছরের শুরু থেকে দেশটিতে দৈনিক সংক্রমণ-মৃত্যুর হার কমে এলেও মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে আবার তাতে ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

করোনা মহামারী শুরুর পর বিমানে যাত্রী পরিবহন বন্ধ রেখেছিল ডিজিসিএ, কিছু ব্যতিক্রম ক্ষেত্রে অবশ্য ছাড় দেওয়া হয়েছে।

সরকার সবুজ সংকেত দেওয়ার পর চলতি বছর মার্চ থেকে ফের সাধারণ সাধারণ যাত্রী পরিবহন করা শুরু করেছে ভারতের বিভিন্ন বিমান পরিষেবা সংস্থা। তবে ভারতের বিমানবন্দর ও অভ্যন্তরীণ-আন্তর্জাতিক সব ফ্লাইটে এখনো কভিডবিধি মানার ব্যাপারে কড়াকড়ি বহাল রয়েছে।