মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত বেশিরভাগই সমকামী পুরুষ

অনলাইন ডেস্ক
2022-06-03 13:09:48
মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত বেশিরভাগই সমকামী পুরুষ

মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ শারীরিক সম্পর্কে জড়ালে যে কারও রোগটি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে

প্রায় এক মাস ধরে বিশ্বেজুড়ে বিরল রোগ মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তদের বেশিরভাগই সমকামী পুরুষ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক তেদরোস আধানম গ্রেব্রিয়েসুস এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর এএফপির।

তেদরোস আধানম জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হাতে থাকা তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বের ৩০টি দেশে ছড়িয়েছে বিরল ভাইরসজনিত অসুখ মাঙ্কিপক্স। এ রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছেন ৫৫০ জনে।

সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায় ডব্লিউএইচও কার্যালয়ে গত বুধবার এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। সেখানে তেদরোস আধানম বলেন, ‘এ পর্যন্ত যত ব্যক্তি মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের বেশিরভাগই সমকামী পুরুষ।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে থাকা তথ্য বলছে, আক্রান্তরা বিভিন্ন যৌন স্বাস্থ্য ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সমকামীদের বিভিন্ন কমিউনিটিতে এ বিষয়ে জনসচেতনতামূলক নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’

ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক বলেন, ‘মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ শারীরিক সম্পর্কে জড়ালে যে কারও রোগটি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

মাঙ্কিপক্স একটি ভাইরাসজনিত অসুখ। স্মলপক্স ভাইরাস শ্রেণির একটি ভাইরাস এটির জন্য দায়ী। ভাইরাসটির দুটি রূপান্তরিত ধরন রয়েছে— মধ্য আফ্রিকান ও পশ্চিম আফ্রিকান।

বিশেষজ্ঞদের মতে, পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার উষ্ণ এবং আদ্র বনাঞ্চলের বানররা ছিল এ রোগের প্রথম শিকার। তারপর এক সময় মানবদেহেও সংক্রমিত হওয়া শুরু করে মাঙ্কিপক্স।

রোগটির বিভিন্ন লক্ষণের মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, ঘেমে যাওয়া, পিঠে ব্যথা, মাংসপেশির টান ও অবসাদ। প্রথম পর্যায়ে রোগীর জ্বর আসে, পাশাপাশি শরীরে দেখা দেয় ফোস্কা এবং অধিকাংশ ঘটনায় শুরুতে মুখে ফুসকুড়ি ওঠে। পরে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে, বিশেষ করে হাত ও পায়ের তালুতে।

১৯৭০ সালের পর থেকে আফ্রিকার ১১ দেশে মাঙ্কিপক্স সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়। ২০১৭ সালের পর নাইজেরিয়ায় সবচেয়ে বেশি এ রোগের প্রকোপ দেখা গেছে।

গত ৭ মে প্রথম একজন ইউরোপীয়ের দেহে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়। নাইজেরিয়া থেকে ওই ব্যক্তি ইংল্যান্ডে ফিরেছিলেন। তবে রয়টার্স বলছে, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমান শনাক্তদের বেশিরভাগ আফ্রিকা ভ্রমণের সঙ্গে সম্পর্কিত নন। যে কারণে রোগের প্রাদুর্ভাবের বিষয়টি অস্পষ্ট থেকে যাচ্ছে।


আরও দেখুন: