উ.কোরিয়ায় চার দিনে ১২ লাখ করোনা আক্রান্ত
দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৫০ জন করোনাভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছে
উত্তর কোরিয়ায় গত চার দিনে ১২ লাখের বেশি মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সোমবার (১৬ মে) দেশটিতে নতুন করে ‘জ্বরে’ ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা কেসিএনএ বলেছে, দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৫০ জন করোনাভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছে। করোনা শনাক্ত হয়েছে ১২ লাখ ১৩ হাজার ৫৫০ জনের। ৫ লাখ ৬৪ হাজার ৮৬০ জন চিকিৎসা নিচ্ছে। করোনা পরিস্থিতিকে ‘মহাবিপর্যয়’ বলেছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন।
গত বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাস শনাক্তের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করে উত্তর কোরিয়া। এরপর দেশজুড়ে লকডাউন ও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।
কেসিএনএ বলছে, দেশের সব প্রদেশ, শহর ও কাউন্টি পুরোপুরি লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে। কর্মক্ষেত্র, উৎপাদন ও আবাসিক এলাকাগুলো বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার কোনো নাগরিক করোনায় আক্রান্ত হননি বলে দুই বছর ধরে দাবি করে আসছিল সরকার। বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারী শুরুর পর থেকেই কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে দেশটি। এর জেরে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে পিয়ংইয়ং। দেশটিতে টিকা দেওয়ার বিষয়েও কোনো সরকারি তথ্য নেই।
বিবিসি বলছে, বিশ্বের সবচেয়ে নাজুক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার একটি উত্তর কোরিয়ার। দেশটিতে করোনার টিকা, ভাইরাসবিরোধী ওষুধ ও গণহারে পরীক্ষার সক্ষমতা নেই। আগে চীন ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা টিকা দিতে চাইলেও নেয়নি পিয়ংইয়ং। এখন আবার সাহায্য ও টিকা পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে পেইচিং ও সিউল।
কেসিএন বলছে, মহামারী নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে করোনা টিকা গ্রহণে সরকারকে এখনো কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
উত্তর কোরিয়ার ওপর নজর রাখে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লুমেন-এর প্রতিষ্ঠাতা জিয়ান বায়েক বলেন, উত্তর কোরিয়ার স্বাস্থ্যব্যবস্থা খুবই ভঙ্গুর। পিয়ংইয়ং তার ২০ লাখ বাসিন্দাকেই নিম্নমানের স্বাস্থ্যসেবা দেয়। তা ছাড়া যে দেশের সর্বোচ্চ নেতা বিয়ারের বোতলকে আইভি ফ্লুয়িড এবং নষ্ট না হওয়া পর্যন্ত বারবার নিডিল ব্যবহারের নির্দেশ দেন, সেখানে মাস্ক, স্যানিটাইজারের ক্ষেত্রে কী হবে, তা কল্পনা করাও কঠিন।