মোদির রাজ্যে ৬০০ মুসলিম জেলের স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিজের রাজ্য গুজরাটে স্বেচ্ছায় মৃত্যুর আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন অন্তত ৬০০ মুসলিম জেলে
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিজের রাজ্য গুজরাটে স্বেচ্ছায় মৃত্যুর আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন অন্তত ৬০০ মুসলিম জেলে।
বিজেপি সরকারের চূড়ান্ত বৈষম্যের শিকার হয়ে মোহনদাস করম চাঁদ গান্ধীর জন্মভূমি রাজ্যের পোরবন্দরের মুসলিমরা এ আবেদন করেছেন বলে জানিয়েছে নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
পোরবন্দরের গোসাবারা জলাভূমির জেলেদের নেতা আল্লারাখা ইসমাইল ভাই থিম্মার গুজরাট হাইকোর্টে ৫ মে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন করেছেন। এতে তিনি বলেছেন, তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা দিনে দিনে চরম খারাপ হয়েছে। তার কারণ নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহদের দলের পরিচালিত রাজ্য সরকারের বৈষম্য। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে জীবনধারণ করাটাই দুর্বিষহ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই তিনি ও তার সঙ্গে ৬০০ জনকে স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দিক আদালত।
গোসাবারা মুসলিম ফিশারমেনস সোসাইটির পক্ষ থেকেও হাইকোর্টে একই আবেদন জানানো হয়েছে। ওই সংগঠনের অভিযোগ, একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মৎস্যজীবীরা সরকারের বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। ওই সম্প্রদায়ের মৎস্যজীবীদের কোনো রকম সরকারি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে না। নানাভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে।
আবেদনে বলা হয়, সম্প্রদায়টি রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার। বিভিন্নভাবে স্থানীয় প্রশাসন তাদের হেনস্থা করে। এলাকার ১০০টি পরিবারের ৬০০ লোক মৎস্য ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। মাছ ধরার জন্য তাদের মৎস্য দপ্তরের অনুমতিপত্রও রয়েছে। তা সত্ত্বেও গোসাবারা ও নভি বন্দরে তাদের নোঙর করতে দেন না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ২০১৬ সাল থেকে তাদের এ ধরনের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে বলে আদালতে জানিয়েছেন পোরবন্দরের মুসলিম মৎস্যজীবীরা।
আবেদনকারী মৎস্যজীবীদের আইনজীবী ধর্মেশ গুর্জার বলেন, ২০১৬ সাল থেকে গোসাবারা বন্দরে মুসলিম মৎস্যজীবীদের নৌকা চলাচল বন্ধ করা দেওয়া হয়েছে। অনুমতিপত্রেরও তোয়াক্কা করা হচ্ছে না।
ইসমাইল থিম্মার অভিযোগ, হিন্দু মৎস্যজীবীদের সরকার সব ধরনের সুবিধা দিচ্ছে। অথচ তাদের দিকে কেউ ফিরেও তাকাচ্ছে না।
মুসলিম মৎস্যজীবীদের অভিযোগ, বার বার উচ্চতর কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানানো হলেও কোনো লাভ হয়নি। অথচ তারা বেআইনি কাজকর্মের সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নন।