ভারতে মুসলিমদের প্রজনন হার বেশি কমছে
সমীক্ষায় আরও দেখা যায়, যত বেশি মেয়েরা শিক্ষা পাচ্ছেন, ততই সন্তানের সংখ্যাও কমছে
ভারতে প্রায় সব ধর্মের মানুষ বসবাস করলেও আনুপাতিক হারে মুসলিমদের প্রজনন হার বেশি কমছে। দেশটির জাতীয় ফ্যামিলি হেলথ সার্ভিস (এনএফএইচএস) ৫-এর তথ্য বলছে, ২০১৫-১৬ সালে প্রজননের হার ছিল ২ দশমিক ৬। ২০১৯-২১ সালে এ হার দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ৩। খবর ডয়েচেভেলের।
ভারতে ১৯৯২-৯৩ সালে মুসলিমদের মধ্যে প্রজনন হার ছিল ৪ দশমিক ৪। ক্রমান্বয়ে তার কমে এখন দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ৩। এরপরও দেশটিতে মুসলিমদের প্রজনন হারই বেশি।
ভারতে হিন্দুদের মধ্যে প্রজনন হার ১ দশমিক ৯৪। ২০১৫-১৬ সালের মধ্যে তা ছিল ২ দশমিক ১। ১৯৯২-৯৩ সালে হিন্দুদের প্রজননের হার ছিল ৩ দশমিক ৩।
এনএফএইচএসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, খ্রিস্টানদের প্রজনন হার ১ দশমিক ৮৮, শিখদের ১ দশমিক ৬১, জৈনদের ১ দশমিক ৬ ও বৌদ্ধদের ১ দশমিক ৩৯।
পপুলেশন ফাউন্ডেশন ইন্ডিয়ার নির্বাহী পরিচালক পুনম মুর্তাজা বলেন, ‘হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে প্রজননের হারে যে ব্যবধান ছিল, তা কমছে। গত কয়েক দশকে মধ্যবিত্ত মুসলিমরা পরিবার পরিকল্পনা ও মেয়েদের শিক্ষার ব্যাপারে সচেতন হয়েছেন।’
এর আগে ২০১৫-১৬ সালের এনএফএইচএসের সমীক্ষায় দেখা যায়, ৩২ শতাংশের বেশি মুসলিম মেয়ে স্কুলেই যান না। সেই হার এবারের এনএফএইচএসের সমীক্ষায় কমে দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ৯। হিন্দুদের ক্ষেত্রে এ হার আগে ছিল ৩১ দশমিক ৪, এখন তা কমে হয়েছে ২৮ দশমিক ৫।
সমীক্ষায় আরও দেখা যায়, যত বেশি মেয়েরা শিক্ষা পাচ্ছেন, ততই সন্তানের সংখ্যাও কমছে। যে মেয়েরা স্কুলে যাননি, তাদের প্রজনন হার হলো ২ দশমিক ৮। আর যারা স্কুলে গেছে এবং অন্তত দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছে, তাদের প্রজনে হার ১ দশমিক ৮। যেসব নারীরা গরিব, তাদের প্রজনন হার অন্যদের তুলনায় বেশি।
পুনম মুর্তাজার দাবি, ‘মুসলিমরা এখন পরিবার-পরিকল্পনার বিষয়ে আগের থেকে বেশি সচেতন। সমীক্ষায় এটাও দেখা গেছে, তারা আগের থেকে অনেক বেশি জন্মনিরোধক ব্যবহার করছেন।’