চীনের সাংহাই শহরে একদিনে করোনায় আক্রান্ত ১২ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সাংহাইয়ের কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার (২২ এপ্রিল) শহরটিতে উপসর্গযুক্ত ২ হাজার ৭৩৬ এবং উপসর্গবিহীন ২০ হাজার ৬৩৪ নতুন সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবারের (২১ এপ্রিল) চেয়ে শনাক্তের এ সংখ্যা অনেকটা বেশি। ওইদিন করেনায় ১১ জনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছিল শহর কর্তৃপক্ষ।

সংক্রমণ, মৃত্যুর এ ঊর্ধ্বগতির পাশাপাশি কড়া লকডাউন ও অনলাইনে কঠোর সেন্সরশিপ শহরটির বাসিন্দাদের ক্ষোভ বাড়াচ্ছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

শুক্রবার যে ১২ জনের মৃত্যুর খবর জানা গেছে, তাদের গড় বয়স ছিল ৮৮; তারা নানা জটিল রোগে ভুগছিলেন এবং কেউই টিকা নেননি বলে জানিয়েছে সাংহাইয়ের স্থানীয় সরকার।

করোনা মোকাবেলায় লকডাউনে থাকা সাংহাইয়ের আবাসিক এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের হতাশা ও ক্ষোভ বাড়লেও কোয়ারেন্টাইন এলাকার বাইরে কভিড রোগী শূন্যে নামিয়ে আনা পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল না করার ব্যাপারে অটল রয়েছেন কর্মকর্তারা।

সাংহাই সরকারের উইচ্যাট চ্যানেলে নগরীর মেয়র গং ঝেং বলেছেন, ‘সময় যত সংকটাপন্ন হয়ে উঠবে, ততই দাঁত কামড়ে থেকে আমাদের নিজেদের শক্তির দিকে মনোযোগী হতে হবে।’

সাংহাইয়ের পুরো শহর লকডাউন শুরু হয় এপ্রিলের প্রথম দিকে, যদিও অনেক বাসিন্দা আরও আগে থেকেই গৃহবন্দি হয়ে আছেন। অনেক কম্পাউন্ড ৩০ দিনের বেশি বন্ধ থাকলেও সেগুলো থেকে এখনও নতুন রোগী মিলছে, যা চীনের কভিড নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপের কার্যকারিতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

চীনের রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র প্রকাশিত এক গবেষণায় উত্তরপূর্ব জিলিন শহরের চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, চীনের বানানো টিকাগুলো এখন পর্যন্ত কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। তবে কভিডের নতুন ধরনগুলোর ক্ষেত্রে কী ঘটে, তা এখনও অনিশ্চিত।

চীন এখন পর্যন্ত কভিড মোকাবেলায় তাদের নিজস্ব কোনো এমআরএনএ টিকা আনেনি; অন্য দেশে বানানো এমআরএনএ টিকা আমদানিতেও রাজি নয় তারা।