ডাউন সিনড্রোম কী?
প্রতি বছর ২১ মার্চ পালন করা হয় দিবসটি
ডাউন সিনড্রোম হল একধরনের জেনেটিক ডিসঅর্ডার। শারীরিক বৃদ্ধির সঙ্গে এর সরাসরি যোগ রয়েছে। এছাড়া বুদ্ধিমত্তার বিকাশও এর ফলে বাধাপ্রাপ্ত হয়। ক্রোমোজোমের অস্বাভাবিকতার ফলে এই সিনড্রোম দেখা যায়।
ব্রিটিশ চিকিৎসক জন ল্যাংডন ডাউন সর্বপ্রথম ১৮৬৬ সালে এ সমস্যায় আক্রান্ত শিশুদেরকে চিহ্নিত করেন বলে তার নামানুসারে একে ডাউন সিনড্রোম নামকরণ করা হয়।
আজ (২১ মার্চ) বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবস। ২০০৬ সাল থেকে প্রতি বছর আজকের এই দিনে ডাউন সিনড্রোম রোগের ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে দিবসটি পালন করা হয়।
ক্রোমোজোম সংক্রান্ত রোগের মধ্যে ডাউন সিনড্রোম প্রথম সারির একটি রোগ। সাধারণত ১০০০ জনের মধ্যে একজন এই ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত হয়। এতে আক্রান্ত প্রাপ্ত বয়স্কদের আইকিউ-এর মাত্রা ৫০ এর কাছাকাছি হয় যা একটি ৮-৯ বছরের বাচ্চার বুদ্ধিমত্তার সমান। আবার ব্যক্তিবিশেষে তার হেরফের হয়ে থাকে।
কিছু কিছু ডাউন সিনড্রোমের শিশুকে স্বাভাবিক বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে শিক্ষা দেওয়া গেলেও অনেকের ক্ষেত্রে বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা দিতে হয়। কেউ কেউ মাধ্যমিক বিদ্যালয় শেষ করতে পারে, খুব অল্পসংখ্যক উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত যেতে পারে। উন্নত বিশ্বে এই রোগীরা ৫০-৬০ বছর পর্যন্ত বাঁচে
মানবদেহের বংশগতি, আচার আচরণ ইত্যাদি সবকিছু নির্ধারিত হয় কোষস্থ ডিএনএ'র মাধ্যমে। এ কারণে ডিএনএ-কে বলা হয় আমাদের বংশগতির ধারক ও বাহক। অর্থাৎ আমাদের শারীরিক ও মানসিক যাবতীয় বৈশিষ্ট্য, আচার-আচরণ, বুদ্ধিমত্তা, চেহারা, উচ্চতা, গায়ের রং সব বৈশিষ্ট্যই ডিএনএ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। অন্যদিকে মানব শরীরে ডিএনএ'র অসামঞ্জস্য দেখা দিলে নানারকম শারীরিক ও মানসিক ত্রুটি দেখা দেয়, যাদের আমরা সাধারণভাবে জন্মগত ত্রুটি বা জেনেটিক ডিজঅর্ডার বলে থাকি। ডাউন সিনড্রোম হলো সেরকমই এক জেনেটিক ত্রুটিযুক্ত মানবশিশু।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডাউন সিনড্রোমের কোনও চিকিৎসা নেই। এতে আক্রান্তদের শিক্ষিত করে তোলা ও যত্ন নেওয়ার মাধ্যমে সুস্থ রাখার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।