ইউক্রেন যুদ্ধে এক চিকিৎসক টিমের অন্যরকম লড়াই
এই মুহূর্তে খারকিভ শহরে আরও ২০০ জন শিশুর চিকিৎসা প্রয়োজন। ধাপে ধাপে তাদের চিকিৎসার জন্য সরিয়ে নিয়ে যাওয়াই তাদের অগ্রাধিকার।
মহামারী কিংবা যুদ্ধ- চিকিৎসকদের থাকতে হয় সম্মুখে। ইউক্রেনে পরাশক্তি রাশিয়ার সর্বাত্মক সামরিক অভিযানেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। যুদ্ধে আহত এবং দূরারোগ্য রোগে আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
আনন্দবাজার বলছে, দুই সপ্তাহ আগেও ‘ইউক্রেনের সেরা চিকিৎসার শহর’ হিসেবে পরিচিত ছিল খারকিভ। রুশ বাহিনীর ১০ দিনের টানা হামলায় সেই শহরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
ঘন বসতিপূর্ণ বেসামরিক এলাকায় নির্বিচারে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ক্লাস্টার বোমা বর্ষণে হতাহত হয়েছেন অনেকেই। সেই তালিকায় রয়েছে শিশুরাও। তাছাড়া যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ব্যাহত হয়ে পড়েছিল দূরারোগ্য রোগে আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসাও।
খারকিভের সেই আহত এবং কঠিন রোগে আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসার জন্য স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয় শুক্রবার রাতে। বিশেষ মেডিকেল ট্রেনে ১২ জন শিশু এবং তাদের অভিভাবকদের আসা হয় পোল্যান্ড সীমান্তে।
এজন্য রাতারাতি একটি সাধারণ ট্রেনে আপৎকালীন চিকিৎসার কিছু ব্যবস্থা করা হয়েছিল। যাত্রী হিসেবে ছিলেন খারকিভের বিশিষ্ট শিশুচিকিৎসক ইউজেনিয়া সুজকিউইচ-সহ কয়েক জন চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মী।
ইউক্রেনের সরকারি সূত্রে জানা গেছে, ওই শিশুদের চিকিৎসার জন্য পোল্যান্ড নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলারুশ সীমান্তে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের বৈঠকে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে আটকে পড়া বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে ঐকমত্য হয়। তারই ভিত্তিতে শুরু হয়ে অসুস্থ এবং আহত শিশুদের খারকিভ থেকে সরানোর উদ্যোগ।
শিশুচিকিৎসক ইউজেনিয়ার তত্ত্বাবধানেই খারকিভের কয়েকজন চিকিৎসক ইউক্রেন সরকার এবং আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই শিশুদের উদ্ধারের ব্যবস্থা করেন।
তিনি জানান, এই মুহূর্তে খারকিভ শহরে আরও ২০০ জন শিশুর চিকিৎসা প্রয়োজন। ধাপে ধাপে তাদের চিকিৎসার জন্য সরিয়ে নিয়ে যাওয়াই তাদের অগ্রাধিকার।