করোনার অতি সংক্রামক ওমিক্রনের একটি উপধরন (বিএ.২) বিশ্বের ৫৭টি দেশে শনাক্ত হয়েছে। মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এ তথ্য জানিয়েছে। খবর এএফপির।

ইতিমধ্যে কিছু গবেষণা ইঙ্গিত দিয়েছে, ওমিক্রনের মূল ধরনের চেয়ে উপধরন ‘বিএ.২’ অনেক বেশি সংক্রামক হতে পারে।

প্রায় ১০ সপ্তাহ আগে আফ্রিকায় প্রথম ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয়। শনাক্তের পর খুব দ্রুত বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে এটি। অনেক মিউটেশনের কারণে ওমিক্রনের উচ্চ সংক্রমণক্ষমতা রয়েছে। ওমিক্রনের আবার বেশকিছু উপধরন তৈরি হয়েছে। এগুলো হলো বিএ.১, বিএ.১.১, বিএ.২ ও বিএ.৩। এই উপধরনগুলোর মধ্যে বিএ.২ মূল ধরনের চেয়ে অনেক বেশি সংক্রামক হতে পারে বলে বিভিন্ন গবেষণায় আভাস মিলেছে।

মহামারীসংক্রান্ত সর্বশেষ সাপ্তাহিক তথ্য উপস্থাপন করতে গিয়ে ডব্লিউএইচও জানায়, গত মাসে করোনার যত নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, তার বেশিরভাগই ওমিক্রন। এর মধ্যে বিএ.১, বিএ.১.১, বিএ.২ ও বিএ.৩ রয়েছে।

করোনার জিনোমের উন্মুক্ত বৈশ্বিক তথ্যভাণ্ডার জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটাতে (জিআইএসএআইডি) ওমিক্রনের যেসব তথ্য আপলোড করা হয়েছে, তার ৯৬ শতাংশই বিএ.১ ও বিএ.১.১। তবে বিএ.২ উপধরনটি শনাক্তের হারও ক্রমাগত বাড়তে দেখা যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেছে ডব্লিউএইচও।

সংস্থাটি বলছে, ওমিক্রনের উপধরনগুলোর মধ্যকার পার্থক্য নিয়ে এখন পর্যন্ত খুব কম তথ্যই জানা গেছে। এগুলোর সংক্রমণক্ষমতাসহ বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য নিরূপণ করতে আরও গবেষণা প্রয়োজন।

ডব্লিউএইচওর করোনাবিষয়ক শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞ মারিয়া ভ্যান কেরখোভে সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওমিক্রনের উপধরনগুলো সম্পর্কিত তথ্য খুব কম আছে। তবে প্রাথমিকভাবে পাওয়া কিছু তথ্য অনুযায়ী, বিএ.১ উপধরনটির তুলনায় বিএ.২ উপধরনের সংক্রমণ হার খানিকটা বেশি।’

তিনি বলেন, ‘ওমিক্রনের বিএ.২ উপধরনটির ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম ঘটার কোনো আভাস এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে ধরন-উপধরনভেদে করোনা এখন বিপজ্জনক রোগের পর্যায়ে রয়ে গেছে। তাই মানুষের উচিত সংক্রমিত হওয়া এড়াতে সতর্ক থাকা।’