উষ্ণায়নে কমছে প্রজনন ক্ষমতা: গবেষণা
পৃথিবীর উষ্ণায়ন বাড়ায় ক্ষতি হচ্ছে মাতৃগর্ভে থাকা ভ্রূণের
পৃথিবীর উষ্ণায়ন বাড়ায় ক্ষতি হচ্ছে মাতৃগর্ভে থাকা ভ্রূণের। উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে অপরিণত সদ্যোজাতের। জন্মের পর শিশুদের ওজন বাড়ছে। শুধু তাই নয়, কমছে নারীদের প্রজনন ক্ষমতাও।
উষ্ণায়নে মাতৃগর্ভে থাকা ভ্রূণ, সদ্যোজাত শিশু ও শিশুর শৈশবকে কতটা বিপজ্জনক করে তুলছে- এমন ছয়টি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান পত্রিকা ‘জার্নাল পিডিয়াট্রিক অ্যান্ড পেরিন্যাটাল এপিডিমিয়োলজি’য়।
গবেষণার বরাত দিয়ে আনন্দবাজার জানায়, উষ্ণায়ন ও দ্রুত জলবায়ু পরিবর্তনে বিশ্বজুড়ে দাবানলের ঘটনা ও তার তীব্রতা বেড়ে চলেছে। ফলে ক্ষতিকারক ধোঁয়ার সৃষ্টি হচ্ছে। তা সদ্যোজাতের নানা ধরনের শারীরিক জটিল দেখা দিচ্ছে। যার বোঝা অনেক বেশি বয়স পর্যন্ত বয়ে যেতে হচ্ছে।
পাশাপাশি, জীবাশ্ম-জ্বালানির অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে মাত্রাধিক বায়ুদূষণ হচ্ছে। এতে মহিলাদের প্রজনন ক্ষমতাও কমে যাচ্ছে আশঙ্কাজনক হারে।
ইসরায়েলে দুই লাখ শিশুর ওপর পরীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে, উষ্ণায়নের কারণে জন্মের এক বছরের মধ্যেই অস্বাভাবিক ওজন-বৃদ্ধির শিকার হচ্ছে শিশুরা। এই ওজন বৃদ্ধিতে বিপজ্জনক হয়ে উঠছে পাঁচ থেকে ১০ শতাংশ শিশুর ক্ষেত্রে।
বিশ্বে শিশুদের অস্বাভাবিক স্থূলত্ব মহামারীর আকার নিয়েছে বলেও কয়েকটি গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে। গবেষণা বলছে, এই মূহূর্তে বিশ্বে অন্তত ১৮ শতাংশ শিশু অস্বাভাবিক ওজন বা স্থূলত্বের শিকার।
কয়েকটি গবেষণার ফলাফলে এটাও স্পষ্ট হয়েছে, বায়ুদূষণ কীভাবে নারীদের ঋতুচক্রে পরিবর্তন ঘটিয়ে তাদের প্রজনন ক্ষমতা কমিয়ে দিয়েছে। এই হারও উদ্বেগজনক। আট থেকে ১৪ শতাংশ।