করোনার আরেক নতুন ধরন ‘ডেল্টাক্রন’
হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়নি, এমন রোগীদের তুলনায় হাসপাতালে ভর্তিদের মধ্যে ডেল্টাক্রনে সংক্রমিত হওয়ার হার বেশি
সাইপ্রাসে করোনার একটি মিশ্র ধরন শনাক্ত হয়েছে বলে দেশটির সিগমা টিভি খবর দিয়েছে। করোনার অতি সংক্রামক ডেল্টা ও ওমিক্রনের সংমিশ্রণের নতুন এ ধরনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ডেল্টাক্রন’। খবর এনডিটিভির।
ইউনিভার্সিটি অব সাইপ্রাসের বায়োলজিক্যাল সায়েন্সের অধ্যাপক লিওনডিওস কসট্রিকিস গত শুক্রবার সিগমা টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডেল্টাক্রন নামে করোনার নতুন ধরন শনাক্ত হওয়ার কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘এখন ওমিক্রন ও ডেল্টার সহসংক্রমণ (কো-ইনফেকশন) চলছে। আমরা করোনার এমন একটি নতুন ধরন শনাক্ত করেছি, যেটি ওমিক্রন ও ডেল্টার সংমিশ্রণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডেল্টার জিনোমের মধ্যে ওমিক্রনের মতো জেনেটিক বিষয় শনাক্ত হওয়ায় করোনার নতুন ধরনের নাম ‘ডেল্টাক্রন’ রাখা হয়েছে।’
ডেল্টাক্রনে সংক্রমিত হয়েছেন এমন ২৫ রোগী শনাক্ত করেছেন লিওনডিওস ও তার দল। তাদের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়নি, এমন রোগীদের তুলনায় যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, তাদের মধ্যে ডেল্টাক্রনে সংক্রমিত হওয়ার হার বেশি।
ডেল্টাক্রনে সংক্রমিত ২৫ রোগীর নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সের তথ্য ৭ জানুয়ারি জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটাতে (জিআইএসএআইডি) পাঠিয়েছে লিওনডিওসের দল।
অধ্যাপক লিওনডিওস বলেন, ‘আমরা ভবিষ্যতে দেখব যে, এ ধরনটি আরও ভয়ঙ্কর বা আরও সংক্রামক কি না। আমরা দেখব যে এটি ডেল্টা ও ওমিক্রনকে ছাড়িয়ে যেতে পারবে কি না।’
করোনার অতি সংক্রামক ডেল্টা ধরন প্রথম শনাক্ত হয় ভারতে। ধরনটির বৈজ্ঞানিক নাম বি.১.৬১৭। ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য এ ধরনকে দায়ী করা হয়। অন্যদিকে করোনার অতি সংক্রামক ওমিক্রন ধরন প্রথম শনাক্ত হয় আফ্রিকায়। নতুন এ ধরনটির বৈজ্ঞানিক নাম বি.১.১.৫২৯। বর্তমানে বিশ্বে অতি দ্রুত ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ছে। করোনার আর কোনো ধরনকে এত দ্রুত বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়নি।