কাতারের করোনা ‘এক্সেপশনাল রেড লিস্টে’ বাংলাদেশ
কাতারের করোনা ‘এক্সেপশনাল রেড লিস্টে’ বাংলাদেশ
কাতারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় করোনার মধ্যে ভ্রমণ ও আগমনের নীতিতে (ট্রাভেল অ্যান্ড রিটার্ন পলিসি) কিছু পরিবর্তন এনেছে। বুধবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টা থেকে এই নতুন নিয়ম কার্যকর হবে।
এক্সেপশনাল ‘রেড কান্ট্রিজ’ বা লাল তালিকায় অন্তর্ভুক্ত বাংলাদেশ থেকে যাওয়া ভ্রমণকারী ও প্রবাসীদের জন্যে যেসব নীতি প্রযোজ্য হবে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি তুলে ধরা হলো।
কাতারে আসার আগে ভ্রমণকারীদের একটি আন্ডারটেকিং ও একনলেজমেন্ট ফর্ম পূরণ করে স্বাক্ষর করতে হবে। ফর্মটি কাতারের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট অনলাইন রেজিস্ট্রেশন প্ল্যাটফর্ম (এহতেরাজ অ্যাপ) ও এয়ারলাইন্সের টিকিট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পাওয়া যাবে।
ভ্রমণকারীদের ‘এহতেরাজ’ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করে কাতারের স্থানীয় বা আন্তর্জাতিক সিম কার্ড ব্যবহার করে তাদের মোবাইল ফোনে সক্রিয় করতে হবে।
কাতারে আসার আগে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর পরীক্ষা করতে হবে ও ফলাফল নেগেটিভ হতে হবে।
কাতারের আকামাধারী প্রবাসীদের জন্য দেশটির জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত পূর্ণডোজ ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে ২ দিনের হোটেল কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। যারা টিকা নেননি বা যাদের ডোজ সম্পন্ন হয়নি, তাদের ৭ দিনের হোটেল কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
পূর্ণ ডোজ টিকা নিয়েছেন এমন দর্শনার্থী বা পর্যটকদের ২ দিনের হোটেল কোয়ারেন্টিন শেষ করতে হবে। পূর্ণ ডোজ টিকা নেননি এমন দর্শনার্থী বা পর্যটকদের ক্ষেত্রে আগমন নীতি আগের মতো বহাল থাকবে, অর্থাৎ তারা কাতারে প্রবেশ করতে পারবেন না।
কাতারের নন-রেসিডেন্টদের (টুরিস্ট, ভিজিটর) কাতারে আসার আগে অনলাইন নিবন্ধন প্ল্যাটফর্মের (www.ehteraz.gov.qa) মাধ্যমে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক।
এ ছাড়াও, কাতারে অনুমোদিত টিকা তালিকা আপডেট করা হয়েছে। শর্তসাপেক্ষে সিনোফার্মের সঙ্গে নতুন করে সিনোভ্যাক ও স্পুতনিক (ভি) তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
শর্তসাপেক্ষে অনুমোদিত টিকা ২ ডোজ নিয়েছেন এবং দ্বিতীয় ডোজের ১৪ দিন পর কাতার ভ্রমণ করবেন এমন যাত্রীদের ভ্রমণের আগে সেরোলজি অ্যান্টিবডি পরীক্ষা বাধ্যতামূলক এবং ফলাফল পজিটিভ আসতে হবে। এ পরীক্ষার বৈধতার মেয়াদ ৩০ দিন।
আগামী শনিবার (৮ জানুয়ারি) থেকে এ নীতি কার্যকর বরবে কাতার।