ওমিক্রন কতটা শক্তিশালী জানালেন বিজ্ঞানীরা
সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী মাইকেল হেড বলেন, গবেষণায় যা উঠে এসেছে, তা খুবই উদ্বেগের
করোনার ওমিক্রন ধরন নিয়ে প্রাথমিক একটি গবেষণা প্রকাশ করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা। সেখানে দেখা গেছে, ডেল্টা ও বেটা ধরনের তুলনায় ওমিক্রনের পুনরায় সংক্রমিত করার ক্ষমতা তিন গুণ বেশি।
বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়, পূর্বে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে গড়ে ওঠা প্রতিরোধব্যবস্থা ভেঙে দেওয়ার সক্ষমতা ওমিক্রনের রয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, নতুন গবেষণাটি চালানো হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থ্য বিভাগের সংগ্রহ করা তথ্যের ভিত্তিতে। এ গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে অনলাইনে। তবে এর রিভিউ এখনো সম্পন্ন হয়নি।
গত ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকায় ২৮ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩৫ হাজার ৬৭০ জন পুনরায় সংক্রমিত হয়েছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। আক্রান্ত হওয়ার ৯০ দিনের ব্যবধানে করোনা পরীক্ষার ফল আবার পজিটিভ এলে ভাইরাসটির পুনরায় সংক্রমণ হয়েছে বলে ধরা হচ্ছে।
নতুন গবেষণা নিয়ে সাউথ আফ্রিকান ডিএসআই-এনআরএফ সেন্টার অব এক্সিলেন্স ইন এপিডেমিওলজিক্যাল মডেলিং অ্যান্ড অ্যানালাইসিসের পরিচালক জুলিয়েট পুলিয়াম টুইট বার্তায় লিখেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার প্রথম তিন ঢেউয়ে যারা সংক্রমিত হয়েছিলেন, তাদের অনেকের শরীরেই আবার ভাইরাসটি ধরা পড়েছে। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই আগে ডেল্টা ধরনে আক্রান্ত হয়েছেন।
সতর্ক করে তিনি বলেন, নতুনভাবে সংক্রমিত রোগীরা টিকা নিয়েছিলেন কি না, সেই তথ্য এ গবেষণায় যুক্ত করা সম্ভব হয়নি। ফলে ভাইরাসটির বিরুদ্ধে টিকা যে প্রতিরোধব্যবস্থা তৈরি করে, তা ভেদ করতে ওমিক্রন কতটুকু সক্ষম, তা সামনে আসছে না। গবেষকেরা বলেছেন, টিকার কার্যকারিতার বিষয়টি নিয়ে পরে গবেষণা করার পরিকল্পনা রয়েছে।
জুলিয়েট বলেন, এর পাশাপাশি ওমিক্রনের সংক্রমণের জেরে শারীরিক জটিলতা কতটা মারাত্মক, তা জানতে জরুরি ভিত্তিতে তথ্য প্রয়োজন।
দক্ষিণ আফ্রিকার গবেষণাটিকে ‘উচ্চমানের’ বলে আখ্যায়িত করেছেন যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী মাইকেল হেড। তিনি বলেন, গবেষণায় যা উঠে এসেছে, তা খুবই উদ্বেগের।