সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হয় করোনার নতুন স্ট্রেইন বি.১. ১.৫২৯। ইতোমধ্যে ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশেও ছড়িয়ে পড়েছে এ ধরন।

ধরনটিকে উদ্বেগজনক উল্লেখ করে ‘ওমিক্রন’ নাম দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিএইচও)। ধরনটি নিয়ে গবেষণা করে কিছু প্রাথমিক প্রাপ্তি প্রকাশ করেছে ডব্লিএইচও।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ গবেষণা সম্পর্কিত কয়েকটি তথ্য উঠে এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে—

১। যারা এরই মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন তাঁরা বেশ সহজেই ওমিক্রনে আক্রান্ত হতে পারেন।

২। ওমিক্রন করোনার ডেল্টাসহ অন্যান্য ধরনের মতো খুব সহজে একজন থেকে আরেকজনকে সংক্রমিত করে কিনা তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে আরটি-পিসিআর পরীক্ষায় ওমিক্রন শনাক্ত হয়।

৩। অন্যান্য ধরনের সঙ্গে ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ এখনো স্পষ্ট নয়। এর সংক্রমণ গুরুতর কোন রোগ সৃষ্টি করে কিনা তাও এখন পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।

এরই মধ্যে এই ধরনটির ওপর টিকার প্রভাব নিয়ে সংশ্লিষ্ট অংশীদারদের সঙ্গে কাজ শুরু করেছে ডব্লিএইচও।

৪। ওমিক্রন শনাক্ত হলে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশেষ করে শিশুদের সামান্য লক্ষণ দেখা গেলেই হাসপাতালে নিতে বলা হচ্ছে। অন্যথায় সার্বিক শনাক্ত বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ওমিক্রনের তীব্রতার মাত্রা বুঝতে কয়েক দিন থেকে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে।