লাইসেন্স দিচ্ছে ফাইজার, দেশেও ‘কম দামে’ মিলবে করোনার বড়ি

অনলাইন ডেস্ক
2021-11-16 21:18:50
লাইসেন্স দিচ্ছে ফাইজার, দেশেও ‘কম দামে’ মিলবে করোনার বড়ি

পরীক্ষামূলক প্রয়োগে এই ওষুধ মারাত্মক ঝুঁকিতে থাকা প্রাপ্তবয়ষ্ক রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি বা মৃত্যুর শঙ্কা ৮৯ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারে বলে প্রমাণ মিলেছে।

বাংলাদেশসহ বিশ্বের কমপক্ষে ৯৫টি নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশের জন্য করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) মুখে খাওয়ার ওষুধ তথা বড়ি ‘প্যাক্সলোভিড’ উৎপাদনে লাইসেন্স দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ কোম্পানি ফাইজার।

নিজেদের উদ্ভাবিত এই ওষুধ উৎপাদনে জেনেভা-ভিত্তিক মেডিসিন প্যাটেন্ট পুল-এর মাধ্যমে বিভিন্ন ওষুধ উৎপাদন কোম্পানিকে এই লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে।

এই লক্ষ্যে জাতিসংঘ পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তি সই করেছে করোনার টিকা উদ্ভাবনে অন্যতম সফল কোম্পানি ফাইজার।

কোম্পানিটির এক বিবৃতির বরাত দিয়ে সিএনএন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, এর ফলে বিশ্বের প্রায় ৫৩ শতাংশ জনগোষ্ঠীর জন্য করোনার মুখে খাওয়ার ওষুধ উৎপাদন করতে পারবে কোম্পানিগুলো।

এই চুক্তি থেকে করোনাভাইরাস মহামারীতে বিধ্বস্ত কিছু বড় দেশকে বাদ দেওয়া হয়েছে। যেমন- ব্রাজিলের একটি কোম্পানি লাইসেন্স পেলেও তারা কেবল রপ্তানির জন্য ওষুধ উৎপাদন করতে পারবে, দেশটিতে ব্যবহারের জন্য নয়।

ফাইজারের করোনার ওষুধ এখন পর্যন্ত কোনো কর্তৃপক্ষ অনুমোদন করেনি। তবে এটি মহামারী দ্রুত বিদায়ে সাহায্য করবে বলে মনে করেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।

মেডিসিন প্যাটেন্ট পুল-এর হেড অব পলিসি ইস্টেবান বুরন বলেন, ‘এটা গুরুত্বপূর্ণ যে সম্প্রতি উদ্ভাবিত একটি কার্যকর ওষুধ আমরা প্রায় ৪০০ কোটি মানুষের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে পারবো।’

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, কয়েক মাসের মধ্যেই কোম্পানিগুলো ওষুধটি উৎপাদন শুরু করতে পারবে। তবে চুক্তিতে সবাইকে খুশি করা যাবে না বলে স্বীকার করেন এই কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, মূল কোম্পানির স্বার্থ, জেনেরিক উৎপাদকদের টিকে থাকা এবং সবচেয়ে গুরুত্ব নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর গণস্বাস্থ্যের চাহিদা- এগুলোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করেই চুক্তি করার চেষ্টা হচ্ছে।

চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, নিম্ন আয়ের দেশগুলোর ক্ষেত্রে রয়্যালটি নেবে না ফাইজার। করোনা ‘জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা’ থাকা পর্যন্ত চুক্তি অনুযায়ী বিক্রির ওপর রয়্যালটি মওকুপ করবে কোম্পানিটি।

ফাইজার বলছে, করোনার ওষুধটি অনুমোদনের জন্য মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) এবং অন্যান্য রেগুলেটরি কোম্পানির কাছে আবেদন করা হবে।

এর আগে দাবি করা হয়েছিল, পরীক্ষামূলক প্রয়োগে এই ওষুধ মারাত্মক ঝুঁকিতে থাকা প্রাপ্তবয়ষ্ক রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি বা মৃত্যুর শঙ্কা ৮৯ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারে বলে প্রমাণ মিলেছে।

এইচআইভির জেনেরিক ওষুধ রিটোনাভিরের সঙ্গে যুক্ত করে ওষুধটি কোভিডের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হবে।

ফাইজারের আগে মার্কিন কোম্পানি মার্ক একই প্রক্রিয়ায় কোভিড-১৯ চিকিৎসায় জেনেরিক ওষুধ ‘মলনুপিরাভির’ তৈরির লাইসেন্স দিয়েছে। ওষুধটি বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি কোম্পানি তৈরি করে বাজারেও এনেছে।


আরও দেখুন: