করোনার টিকার কারণে সিরিঞ্জ সংকটের শঙ্কা
একটানা কোভিডের টিকাদান চলছে। এখনো অনেক পথ বাকি। ফলে সিরিঞ্জের চাহিদ এখনই কমছে না।
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) টিকাদান কর্মসূচির কারণে বিশ্বব্যাপী ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় সিরিঞ্জ সংকটের আশঙ্কা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
গত বছর থেকে একটানা কোভিডের টিকাদান চলছে। এখনো অনেক পথ বাকি। ফলে সিরিঞ্জের চাহিদ এখনই কমছে না।
উন্নত দেশগুলোতে ৭০ শতাংশের কাছাকাছি টিকাদান করা হলেও বাকি বিশ্বে টিকার চাহিদা মেটেনি। এখন পর্যন্ত টিকার অন্তত ৭২৫ কোটি ডোজ দেওয়া হয়েছে মানুষকে। অর্থাৎ অন্তত ৭২৫ কোটি সিরিঞ্জ ব্যবহার হয়েছে শুধু কোভিডের টিকাকরণে। এক বছরে যে পরিমাণ সিরিঞ্জ ব্যবহার হয়, এই সংখ্যা তার দ্বিগুণেরও অনেক বেশি।
ডব্লিউএইচও’র সতর্কবার্তা, অবিলম্বে সিরিঞ্জ উৎপাদন বাড়াতে হবে। না হলে শিগগিরই সিরিঞ্জের ঘাটতি দেখা দেবে।
আগামীর বছরের জন্য অন্তত ২০০ কোটি সিরিঞ্জের ঘাটতি রয়েছে। এতে শুধু টিকাদান নয়, অন্যান্য রোগের চিকিৎসাও বিঘ্নিত হতে পারে আশঙ্কা বৈশ্বিক সংস্থাটির।
তবে ভয়ে সিরিঞ্জ মজুত করা যেন শুরু না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক করে ডব্লিউএইচও বলেছে, ‘প্যানিক বাইং’-এ বিপদ আরও বাড়বে। বরং সিরিঞ্জ উৎপাদন আরও বাড়াতে হবে।
বৈশ্বিক সংস্থাটির শীর্ষস্থানীয় উপদেষ্টা লিসা হেডম্যান বলেন, ‘আমরা বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন করতে চাইছি। সিরিঞ্জের ঘাটতি দেখা দিতে পারে শিগগিরই। তাতে অন্যান্য রোগের চিকিৎসা যেমন ব্যাহত হবে, টিকাদান প্রক্রিয়াও ধাক্কা খাবে।’
উৎপাদন বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘কোনো দেশে কী পরিমাণ টিকা দেওয়া হচ্ছে, তার ওপর অবশ্য নির্ভর করবে সিরিঞ্জের অপ্রতুলতা।’