ফাইজারের করোনার পিল ৮৯ শতাংশ কার্যকর দাবি
ট্রায়ালে অংশ নেওয়া উচ্চ ঝুঁকির রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যু কমিয়েছে ফাইজারের পরীক্ষামূলক ওষুধ।
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) মুখে খাওয়ার পিল তথা বড়ি বাজারে আনছে ওষুধ উৎপাদন কোম্পানি ফাইজার। ইতোমধ্যে মার্কিন কোম্পানিটির করোনার টিকা বিশ্বব্যাপী ব্যাপক সমাদৃত হয়েছে।
অন্তর্বর্তী পর্যালোচনার (ট্রায়াল শেষের আগেই) ভিত্তিতে কোম্পানিটির দাবি, ট্রায়ালে অংশ নেওয়া উচ্চ ঝুঁকির রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যু কমিয়েছে তাদের পরীক্ষামূলক ওষুধ।
ফাইজার আশা করছে, বেশি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে যাওয়ার আগে রোগীকে বাসায় পুরনো অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ ‘রিটোনাভির’-এর সঙ্গে মিলিয়ে এই পিল দেওয়া যাবে।
কথিত অন্তর্বর্তী পর্যালোচনার তথ্য দিয়ে সিএনএন বলছে, আক্রান্ত হওয়ার পর দ্রুত এই পিল নিলে হাসপাতালে ভর্তি কিংবা মৃত্যুর ঝুঁকি ৮৯ ভাগ কমে।
একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ফাইজার এই ফলাফলের কথা জানিয়েছে। এটি প্রকাশের আগে ডাটা পর্যালোচনার জন্য বিজ্ঞানীদের দেওয়া হয়নি। এই ডাটার পিয়ার রিভিউ কিংবা এটা কোথাও প্রকাশও হয়নি।
কোম্পানিটি বলছে, পিয়ার রিভিউ এবং মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) কাছে হস্তান্তরের সময় তারা আরও সুনির্দিষ্ট করে এ বিষয়ে জানাবে।
ফাইজার বলছে, আক্রান্ত হওয়ার তিন দিনের মধ্যে ‘রিটোনাভির’-এর সঙ্গে এই ওষুধ নেওয়া রোগীদের ০.৮ শতাংশ চার সপ্তাহের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন যা ছিল ৩৮৯ জনের মধ্যে তিনজন।
অন্যদিকে প্লাসেবো (ডামি ওষুধ) নেওয়া ৭ শতাংশ তথা ৩৮৫ জনের ২৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। তাদের সাতজন মারা যান। তবে মূল ওষুধ নেওয়া কেউ মারা যাননি।
কোম্পানি বলছে, ওষুধ নেওয়াদের ১৯ শতাংশের ক্ষেত্রে ক্ষতিকর ফল (অ্যাডভার্স ইভেন্টস) দেখা গেছে। প্লাসেবো নেওয়াদের ক্ষেত্রে এই হার ২১ শতাংশ। তবে ক্ষতিকর ফলটি কী ছিল সে বিষয়ে কিছু বলেনি তারা।
ফাইজারের চেয়ারম্যান সিইও আলবার্ট বোরলা বলেন, ‘ডাটা নির্দেশ করে আমাদের ওরাল অ্যান্টিভাইরাল যদি নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ থেকে ছাড়পত্র পায়, তাহলে রোগীদের জীবন বাঁচানোর ক্ষমতা আছে, গুরুতর সংক্রমণও কমাতে পারে। এটি প্রতি ১০ জনের নয়জনের হাসপাতালে ভর্তি ঠেকাতে পারে।’