ব্যাকটেরিয়ায় বছরে দেড় লাখ শিশুর মৃত্যু, টিকা তৈরির আহ্বান

অনলাইন ডেস্ক
2021-11-04 13:51:31
ব্যাকটেরিয়ায় বছরে দেড় লাখ শিশুর মৃত্যু, টিকা তৈরির আহ্বান

প্রতিবছর বিশ্বের ১৫ শতাংশ অন্তঃসত্ত্বা তাদের জননাঙ্গে জিবিএস বহন করেন। তাদের শরীর থেকে এটি গর্ভের শিশুর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে

বিশ্বে প্রতিবছর গ্রুপ বি স্ট্রেপটোকোককাস ইনফেকশন (জিবিএস) নামের একটি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে প্রায় দেড় লাখ শিশুর মৃত্যু হচ্ছে। তাদের মধ্যে রয়েছে গর্ভে থাকা শিশু ও নবজাতকরা।

ব্যাকটেরিয়াটির সংক্রমণ ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে টিকা তৈরির আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বুধবার (৩ নভেম্বর) ডব্লিউএইচও ও যুক্তরাজ্যভিত্তিক লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন প্রকাশিত একটি যৌথ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে বলে খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের তিন-চতুর্থাংশ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের শরীরে জিবিএস ব্যাকটেরিয়া কোনো রকম ঝুঁকি ছাড়াই অবস্থান করে। তবে সময়ের আগে শিশুদের জন্ম ও বিকলাঙ্গতার ক্ষেত্রে এটি বড় ভূমিকা রাখে।

প্রতিবছর পাঁচ লাখের বেশি শিশু সময়ের আগে জন্ম নিচ্ছে। এর পেছনে রয়েছে জিবিএস ব্যাকটেরিয়া। ফলে ওই সব শিশুদের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি বিকলাঙ্গতা দেখা দিচ্ছে। সবকিছুর পরও ব্যাকটেরিয়াটি রুখতে টিকা তৈরিতে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

এ নিয়ে ডব্লিউএইচও টিকা-সংক্রান্ত বিভাগের কর্মকর্তা ফিলিপ ল্যামবাহ বলেন, মায়েদের জন্য জিবিএসের টিকা জরুরি ভিত্তিতে তৈরি করার আহ্বান জানাচ্ছে ডব্লিউএইচও। ফলে বিশ্বের দেশগুলো অনেক সুবিধা পাবে।

লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের অধ্যাপক জয় লন বলেন, জিবিএসের টিকা তৈরির বিষয়টি তিন দশক আগে আমলে নেওয়া হয়েছিল। তবে পরে বিষয়টির তেমন অগ্রগতি হয়নি। মায়েদের এ টিকা দেওয়া হলে আগামী বছরগুলোতে লাখ লাখ শিশুর জীবন বাঁচবে।

প্রাপ্ত তথ্য থেকে দেখা গেছে, প্রতিবছর বিশ্বের ১৫ শতাংশ অন্তঃসত্ত্বা তাদের জননাঙ্গে জিবিএস ব্যাকটেরিয়া বহন করেন। সাধারণত মায়েদের শরীরে এ ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কোনো উপসর্গের দেখা মেলে না। তবে তাদের শরীর থেকে ব্যাকটেরিয়াটি গর্ভের শিশুর মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে। পাশাপাশি সন্তান জন্মের সময় এটি তাদের শরীরে প্রবেশ করতে পারে।

মায়েদের শরীরে জিবিএসে সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে আফ্রিকার সাহারা মরুভূমির দক্ষিণাঞ্চলের দেশগুলোতে। এ ছাড়া পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে ব্যাকটেরিয়াটির ব্যাপকতা দেখা গেছে।


আরও দেখুন: