ভারতের নয়াদিল্লির বাসিন্দারা নিজের অজান্তেই করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। আবার সুস্থও হয়ে উঠছেন। সম্প্রতি চালানো এক জরিপের দেখা গেছে, দিল্লির প্রায় ৯০ শতাংশ বাসিন্দার শরীরে করোনা প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।

বুধবার দিল্লি সরকারের পক্ষ থেকে ‘৬ষ্ঠ সেরোলজিক্যাল সার্ভে (সেরো সমীক্ষা) রিপোর্ট’ প্রকাশ করা হয়। তাতে বলা হয়েছে, দিল্লির অনেক বাসিন্দার শরীরে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। সেই সংখ্যাটি কোনো অবস্থাতেই ৮৫ শতাংশের কম নয়।

দিল্লিতে ষষ্ঠ দফার সেরো সমীক্ষা শুরু হয়েছিল গত ২৪ সেপ্টেম্বর। এক সপ্তাহ ধরে তিন পৌরসভার ২৮০টি ওয়ার্ড থেকে ২৮ হাজার বাসিন্দার রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর আগে গত জানুয়ারি মাসে পঞ্চম দফার সেরো সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, ৫৬ শতাংশেরও বেশি দিল্লিবাসীর দেহে করোনা প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।

সম্প্রতি মুম্বাইয়ের সেরো সমীক্ষাতেও অধিকাংশ মানুষের দেহেই প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে বলে দেখা গেছে। গত বছর জুলাই মাসে দিল্লিতে করোনা সংক্রান্ত ‘প্রথম সেরোলজিক্যাল সার্ভে রিপোর্ট’ জানিয়েছিল, দিল্লির অন্তত ২২ দশমিক ৬ শতাংশ বাসিন্দার দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।

তার এক মাস পর দ্বিতীয় সেরো সমীক্ষার রিপোর্টে জানা যায়, সেখানকার এক-তৃতীয়াংশ নাগরিকদের দেহে করোনা প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। তারা কোনোভাবে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। পরে সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

মানব শরীরে করোনা প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে কি না, তা দেখার জন্য রক্ত পরীক্ষার নাম সেরোলজিক্যাল টেস্ট। অ্যান্টিবডি হলো বিশেষ এক ধরনের প্রোটিন যা শরীরে কোনো জীবাণু প্রবেশ করলে তার বিরুদ্ধে লড়াই করে।

ইমিউনোগ্লোবিউলিন-জি বা আইজি-জি নামের অ্যান্টিবডি করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করে। রক্ত পরীক্ষা করে আইজি-জি পাওয়া গেলে বোঝা যায়, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং সুস্থও হয়ে উঠেছেন।