করোনা পিলের অনুমোদনের আবেদন
করোনা পিলের অনুমোদনের আবেদন
করোনার অ্যান্টিভাইরাল ক্যাপসুল ‘মলনুপিরাভির’র জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি মার্ক। দেশটির ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) কাছে এ আবেদন করা হয়েছে।
অনুমোদন পেলে এটিই হবে করোনা চিকিৎসায় অনুমোদিত প্রথম মুখে খাওয়ার অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ। খবর সিএনএনের।
মলনুপিরাভিকে করোনার সম্ভাব্য ‘গেম চেঞ্জার’ হিসেবে অভিহিত করেছেন স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা। ক্যাপসুলটি খেলে রোগীর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দরকার পড়বে না। গুরুতর অসুস্থ হওয়ার আগেই ওষুধ খাওয়া শুরু করতে পারবেন। কারও করোনা শনাক্ত হলে বাড়িতেই মলনুপিরাভিরের কোর্স শুরু করতে হবে। এ কোর্সে মোট ৪০টি ক্যাপসুল থাকবে। তবে টিকার বিকল্প নয় এ ওষুধ।
নন-প্রফিট ড্রাগস ফর নেগলেক্টেড ডিজিজ ইনিশিয়েটিভের উত্তর আমেরিকার নির্বাহী পরিচালক র্যাচেল কোহেন বলেন, ‘মলনুপিরাভির সত্যিই করোনার মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।’
সংক্রামক রোগের চিকিৎসক এবং অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি মেডিকেল স্কুলের মেডিসিনের সহযোগী অধ্যাপক সঞ্জয় সেনানায়েকে বলেন, ‘টিকা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। তবে মলনুপিরাভি এভাবে কাজ করে না। এটি ভাইরাসের প্রতিরূপকে ব্যাহত করে। এক অর্থে, এটি ভাইরাসের অপুষ্ট শিশুর জন্ম দেয়।’
ইতিমধ্যে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের অন্তত আটটি দেশ বা অঞ্চল ক্যাপসুলটি কেনার চুক্তি করেছে বা কিনতে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব দেশের মধ্যে নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া রয়েছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্যাপসুলটি অনুমোদন পেলেও করোনা প্রতিরোধে এখন পর্যন্ত টিকাই সবচেয়ে সুরক্ষা দিচ্ছে। ফলে মুখে খাওয়ার ওষুধ কখনোই টিকার বিকল্প হবে না।