শিশু ও কিশোরীদের ক্ষতি করছে ফেসবুক

অনলাইন ডেস্ক
2021-10-06 15:56:39
শিশু ও কিশোরীদের ক্ষতি করছে ফেসবুক

ইনস্টাগ্রামের করা গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যাপটি ব্যবহারে কমবয়সী মেয়েদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে

জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক শিশুদের ক্ষতি করছে। একই সাথে কম বয়সী মেয়েদের (কিশোরী) মানসিক স্বাস্থ্যেরও মারাত্মক অবনতি ঘটাচ্ছে বলে দাবি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক কর্মী ফ্রান্সেস হাউজেন। মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) ক্যাপিটল হিলে যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতাদের শুনানিতে এ দাবি করেন তিনি।

৩৭ বছর বয়সী হাউজেন এক সময় ফেসবুকের পণ্য ব্যবস্থাপক ছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি ‘হুইসেলব্লোয়ারের’ ভূমিকা নিয়ে ফেসবুকের অভ্যন্তরীণ অনেক নথি গণমাধ্যমকে দিয়েছেন এবং সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটির নানা নেতিবাচক ভূমিকা তুলে ধরছেন।

হাউজেন বলেন, ‘ফেসবুক শিশুদের ক্ষতি করছে, বিভক্তি উসকে দিচ্ছে ও গণতন্ত্রকে দুর্বল করছে।’ সম্প্রতি সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে (ডব্লিউএসজে) ফেইসবুকের বেশকিছু অভ্যন্তরীণ নথি দিয়েছেন হাউজেন। এসব নথির ওপর ভিত্তি করে ডব্লিউএসজে’র প্রতিবেদনে বলা হয়, ইনস্টাগ্রামের করা গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যাপটি ব্যবহারে কমবয়সী মেয়েদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে।

সিনেটের শুনানিতেও হাউগেন এ বিষয়ে জোর দিয়ে বলেন, ‘কোম্পানির নেতৃত্ব জানে কীভাবে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামকে নিরাপদ রাখা যায়। কিন্তু তারা এজন্য প্রয়োজনীয় পরিবর্তনগুলো করবে না। কেন না তারা আকাশচুম্বী লাভকে মানুষের ওপর স্থান দিয়েছে।’

বিশ্বজুড়ে ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপে বিভ্রাটের ঘটনায় হাউজেন খুশি হয়েছেন জানিয়ে বলেন, ‘আমরা দেখেছি ফেসবুক ইন্টারনেট থেকে গায়েব হয়ে গিয়েছিল। আমি জানি না কেন এমনটা হয়েছে। কিন্তু আমি জানি ৫ ঘণ্টারও বেশি সময় ফেসবুক বিভেদ তীব্রতর করা, গণতন্ত্রকে অস্থিতিশীল করা, নিজের শরীর নিয়ে কমবয়সী মেয়ে ও নারীদের হীনমন্যতায় ভোগার কাজে ব্যবহৃত হয়নি।’

অভিযোগের বিষয়ে ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ বলেছেন, ‘বিভিন্ন গণমাধ্যম এখন যেভাবে ফেসবুককে দেখাচ্ছে, তা ভুল চিত্র। যেসব অভিযোগ করা হচ্ছে, তার বেশিরভাগই ভিত্তিহীন। ফেসবুক ক্ষতিকর কন্টেন্টের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে এবং স্বচ্ছতা বজায় রেখেছে।’

তিনি বলেন, ‘ইনস্টাগ্রামের গবেষণাকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। কমবয়সী অনেকের প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহারের কারণে অনেক ইতিবাচক অভিজ্ঞতাও হয়েছে। আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, যা-ই আমরা বানাই না কেন, তা যেন শিশুদের জন্য ভালো ও নিরাপদ হয়।’


আরও দেখুন: