‘পেসমেকার’ বসিয়ে সারিয়ে তোলা হলো মানসিক অবসাদগ্রস্ত রোগীকে
মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশকে প্রয়োজনে সক্রিয় করে তোলার জন্য বানানো ব্যাটারিচালিত এই পেসমেকারের নাম নিউরোপেস আরএনএস সিস্টেম।
এক রোগীর গভীর মানসিক অবসাদ দূর করা হয়েছে মস্তিষ্কে বিদ্যুৎচালিত একটি বিশেষ ধরনের ‘পেসমেকার’ বসিয়ে।
মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশকে প্রয়োজনে সক্রিয় করে তোলার জন্য বানানো ব্যাটারিচালিত এই পেসমেকারের নাম ‘নিউরোপেস আরএনএস সিস্টেম’।
কুষ্ঠ রোগীদের চিকিৎসার জন্য যন্ত্রটির ব্যবহারে সম্মতি দিয়েছে আমেরিকার ‘ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)’।
আনন্দবাজারের প্রতিবদেনে বলা হয়, মস্তিষ্কের যে অংশটির কাজকর্ম অস্বাভাবিক হয়ে পড়ার জন্য দীর্ঘ দিন ধরে গভীর মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ওই রোগী, সেই অংশের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় পেসমেকার থেকে পাঠানো বিদ্যুৎতরঙ্গই রোগীকে সারিয়ে তুলেছে।
অন্য কোনো প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতিতেই এই কাজটি করা সম্ভব হচ্ছিল না। গভীর মানসিক অবসাদগ্রস্ত ওই রোগী আত্মঘাতী হওয়ার সুযোগ খুঁজতেন সব সময়।
এই নিউরোপেস আরএনএস সিস্টেমকে এবার ব্যবহার করেছিলেন সান ফ্রান্সিসকোর ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী ও গবেষক। তাদের পরীক্ষা পদ্ধতি ও সাফল্যের ভিত্তিতে লেখা গবেষণাপত্রটি সোমবার প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক চিকিৎসা গবেষণা পত্রিকা ‘নেচার মেডিসিন’-এ।
ব্যাটারিচালিত এই যন্ত্রটি শুধু মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশকে প্রয়োজনে সক্রিয় করে তুলতে পারে তা-ই নয়, মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের ভেতরে বিদ্যুৎতরঙ্গের পরিমাণ এবং হ্রাস-বৃদ্ধির ওপরেও কড়া নজর রাখতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদ্ধতি একটি অভিনব উদ্ভাবন। এর ফলে দীর্ঘদিন গভীরভাবে মানসিক অবসাদে ভোগা রোগীকে সারিয়ে তোলা সম্ভব হবে যা এত দিন কোনো চিকিৎসাতেই করা যেত না।
ডর্টস্মাউথের গাইসেল স্কুল অব মেডিসিনের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর পল হোলঝ্হেমার বলেছেন, ‘এটি সত্যি সত্যিই অভিনব পদ্ধতি। তবে মাত্র একজন রোগীর ওপর চালানো পরীক্ষায় এ সাফল্য এসেছে। আরও অনেক রোগীর ওপর এই পদ্ধতিকে পরীক্ষা করে দেখতে হবে ভবিষ্যতে তার বহুল ব্যবহারের জন্য।’