প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস এক সময় সাধারণ ঠান্ডা-জ্বর সৃষ্টি মতো ভাইরাসের মতো হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার অন্যতম রূপকার অধ্যাপক সারাহ গিলবার্ট।

বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাজ্যের রয়েল সোসাইটি অব মেডিসিনের এক ওয়েবিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন বলে খবর দিয়েছে ইভিনিং স্ট্যান্ডার্ড।

অক্সফোর্ডের ৫৯ বছর বয়সী এ অধ্যাপকের অনুমান, সময় গড়ানোর সাথে সাথে এখন আতঙ্ক সৃষ্টিকারী ভাইরাস দুর্বল হয়ে পড়বে। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন মানুষের মাঝে সংক্রমিত হয় এমন চারটি আলাদা করোনাভাইরাসের সাথে বসবাস করছি। তবে এগুলো নিয়ে আমরা খুব বেশি চিন্তিত নই। এক সময় এই ‘সার্স-সিওভি-২’ও আগের ভাইরাসের একটি হয়ে যাবে। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, সেটি হতে কত সময় লাগবে এবং সে সময় পর্যন্ত আমরা তাকে মোকাবেলায় কী কী ব্যবস্থা নিতে পেরেছি।’

আলোচিত এ বিজ্ঞানী বলেন, ‘করোনা আরও বেশি প্রাণঘাতী হয়ে উঠবে এমন সম্ভাবনা খুব কম। কারণ ভাইরাসের যাওয়ার মতো জায়গা খুব বেশি নেই। ভবিষ্যতে এই ভাইরাস ক্রমশ শক্তি হারিয়ে ফেলবে। কেন না তখন তাকে করোনা প্রতিরোধী জনগোষ্ঠীর মধ্য দিয়েই ছড়াতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘এখন আমি অন্য সংক্রামক রোগগুলোর টিকা আবিষ্কারে প্রয়োজনীয় তহবিল পেতে অপেক্ষা করছি। ভবিষ্যৎ মহামারীর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। সামান্য বিনিয়োগ দীর্ঘ মেয়াদে বিলিয়ন বিলিয়ন পাউন্ড বাঁচাতে পারে।’

অধ্যাপক সারাহ বলেন, ‘অতীতে প্রাদুর্ভাব সৃষ্টি করেছে এবং ভবিষ্যতেও করবে এমন রোগের টিকা বানাতে মহামারীর আগে থেকেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আমরা। এজন্য এখনো আমাদের তহবিল যোগাড়ের চেষ্টা করতে হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘নিপা ভাইরাস, লাসা জ্বরের ভাইরাস ও মার্স করোনাভাইরাস— এ তিনটা নিয়ে আমি কাজ করছি এবং এগুলোর জন্য তহবিল সংগ্রহে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’