কোভিশিল্ড নিয়ে যুক্তরাজ্যকে হুমকি ভারতের
যুক্তরাজ্য যদি কোভিশিল্ডকে অনুমোদন না দেয়, তাহলে ভারতেরও অধিকার থাকবে অনুরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করার
ভারতের পুনেতে সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত ‘কোভিশিল্ড’ টিকাকে যুক্তরাজ্যের অনুমোদন না দেয়ার সিদ্ধান্ত বৈষম্যমূলক। মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানী দিল্লিতে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্য যদি কোভিশিল্ডকে অনুমোদন না দেয়, তাহলে ভারতেরও অধিকার থাকবে অনুরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করার।’
কোভিশিল্ড টিকাপ্রাপ্তদের যুক্তরাজ্য এখনো সে দেশে বিনা বাধায় ভ্রমণের অনুমতি দেয়নি। এ নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ইতিমধ্যেই যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রুসের সঙ্গে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনের অবসরে কথা বলেছেন।
শ্রিংলা বলেন, ‘সিদ্ধান্তটি যে বৈষম্যমূলক, সে কথা যুক্তরাজ্যকে জোরের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন। এও বলেছেন, কোভিশিল্ডকে অনুমোদন দেয়া না হলে ভারতেরও অধিকার থাকবে অনুরূপ সিদ্ধান্ত গ্রহণের। এরপর বিষয়টির মীমাংসা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে যুক্তরাজ্য।’
তিনি বলেন, ‘এখন ভারতে টিকা উৎপাদন দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রাও পূর্ণ হবে। এই পরিস্থিতিতে ভারত উদ্বৃত্ত টিকা প্রতিবেশীদের দেবে ঠিক করেছে। অন্যান্য দেশেও পাঠানো হবে।’
কোভিশিল্ড নিয়ে যুক্তরাজ্যের সিদ্ধান্ত ভারত কেন মানতে পারছে না, শ্রিংলা তার একটা ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ব্রিটেনের সংস্থা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার লাইসেন্স নিয়ে ভারতীয় সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত হয়েছে কোভিশিল্ড। রপ্তানি বন্ধ হওয়ার আগে ৫০ লাখ কোভিশিল্ড টিকার ডোজ ভারত সরকারিভাবে ব্রিটিশ সরকারকেও পাঠিয়েছিল। সেই টিকা নিশ্চিতভাবেই সে দেশের নাগরিকদের দেয়া হয়েছে। লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোভিশিল্ডকে অনুমোদন না দেয়ার যুক্তি তাই সারবত্তাহীন।’
পর্যটকদের জন্য যুক্তরাজ্যের নতুন নিয়মে কোভিশিল্ডের দুটি টিকা নিয়ে সে দেশে কেউ গেলে তাকে ১০ দিন বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।