‘ল্যাম্বডা’ ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়েছে ২৯ দেশে, উদ্বেগ ডব্লিউএইচও’র
ল্যাম্বডা ভ্যারিয়েন্ট খুব অল্প সময়ের মধ্যে স্পাইক প্রোটিনের অনেকগুলো মিউটেশন ঘটিয়েছে যা উদ্বেগজনক।
ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের দাপটে গোটা বিশ্বের করোনা মহামারী পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এরই মধ্যে উদ্বেগ ছড়াচ্ছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের নতুন ধরন ‘ল্যাম্বডা’ ভ্যারিয়েন্ট।
গত ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম শনাক্ত হওয়ারপর একের পর এক রূপ বদলাচ্ছে সার্স-কোভ-২ তথা করোনাভাইরাস (কভিড-১৯)।
এখন পর্যন্ত ‘আলফা’, ‘বিটা’, ‘গামা’ ও ‘ডেল্টা’র পর পেরুতে এই ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘ল্যাম্বডা’ শনাক্ত হয়েছে।
আনন্দবাজার জানায়, দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুতে প্রথম ‘ল্যাম্বডা’ ভ্যারিয়েন্ট ধরা পড়ে। ইতোমধ্যে এটি ২৯টি দেশে ছড়িয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
বৈশ্বিক সংস্থাটির একটি সূত্র জানায়, নতুন এই ভ্যারিয়েন্টটি নিজেকে এত দ্রুত বদলাচ্ছে যে, তা উত্তরোত্তর উদ্বেগ বৃদ্ধির কারণ হয়ে উঠছে। এক মানুষ থেকে অন্য মানুষে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে বলেই এই ধরন দ্রুত নিজেকে বদলে নিচ্ছে।
নতুন এই ভ্যারিয়েন্টটির বৈজ্ঞানিক নাম ‘সি.৩৭’। ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের মতো এখনো এটিকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’-এর তালিকায় রাখা হয়নি। আপাতত এই ধরনটিকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’-এর পর্যায়ে রেখেছে ডব্লিউএইচও।
সম্প্রতি পেরুর ৮১ শতাংশ করোনা রোগীর দেহে ‘ল্যাম্বডা’ ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ পাওয়া গেছে। দক্ষিণ আমেরিকার আরেকটি দেশ চিলের এক-তৃতীয়াংশ রোগীও এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত।
‘ল্যাম্বডা’ ভ্যারিয়েন্ট খুব অল্প সময়ের মধ্যে স্পাইক প্রোটিনের অনেকগুলো মিউটেশন ঘটিয়েছে যা উদ্বেগজনক। অ্যান্টিবডি ফাঁকি দিয়ে মানব দেহকোষে ঢুকতে নিত্যনতুন রূপ নিচ্ছে এই ভ্যারিয়েন্টটি।
‘ল্যাম্বডা’ ভ্যারিয়েন্ট ইতিমধ্যেই তার স্পাইক প্রোটিনে সাতটি মিউটেশন ঘটিয়ে ফেলেছে। আরও ঘটাতে পারে। স্পাইক প্রোটিনের এই একের পর এক মিউটেশন ধরনটিকে আরও বেশি সংক্রামক হয়ে উঠতে সাহায্য করছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।