কোভিশিল্ডের দুই ডোজ নিলে ডেল্টা থেকে সুরক্ষা ৮৪ শতাংশ
বর্তমান বিশ্বে করোনা মহামারীর বিপর্যয়কর পরিস্থিতির জন্য ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টকে দায়ী করা হচ্ছে।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রযুক্তি নিয়ে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি কোভিশিল্ড টিকার দুই ডোজে করোনার অতি সংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট থেকে প্রায় ৮৪ শতাংশ সুরক্ষা মিলে।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যালর রিসার্চ (আইসিএমআর) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ দাবি করেছে।
প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার জানায়, যাদের নমুনা সংগ্রহ করে এই প্রতিবেদন তৈরি হয়েছে, তাদের মধ্যে ১৬.১ শতাংশ ব্যক্তির শরীরে তেমন অ্যান্টিবডির খোঁজ মেলেনি, যা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টকে রুখতে দিতে পারে। অর্থ্যাৎ ৮৩.৯ ভাগের শরীরে ডেল্টা প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে যারা কোভিশিল্ডের একটি টিকা নিয়েছেন, তাদের মধ্যে ৫৮.১ শতাংশ ব্যক্তির শরীরে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট মোকাবিলায় সক্ষম অ্যান্টিবডি তৈরি হয়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। অর্থ্যাৎ এক ডোজে ডেল্টা প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে ৪১.৯ শতাংশ।
ভেলোরের খ্রিস্টান মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সাবেক প্রধান টি জেকব জন বলেন, ‘খুঁজে পাওয়া যায়নি মানে একেবারে নেই, তা নয় কিন্তু। অ্যান্টিবডি এতটাই কম তৈরি হয়েছে যে তা ধরা পড়েনি।’
তিনি বলেন, ‘কোমর্বিডিটি, হাইপারটেনশন, হৃদ্রোগের সমস্যা যাদের আছে, এবং ৬৫ বছরের বেশি যাদের বয়স, তাদের শরীরে অ্যান্টিবডি কমই তৈরি হয়। পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি তৈরি করতে তাদের হয়তো তৃতীয় ডোজ (বুস্টার ডোজ) নিতে হতে পারে।’
বর্তমানে বিশ্বে করোনা মহামারীর বিপর্যয়কর পরিস্থিতির জন্য ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টকে দায়ী করা হচ্ছে। অতি সংক্রামক এই ভ্যারিয়েন্টকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ ঘোষণা দিয়েছে। এখন পর্যন্ত শতাধিক দেশে এই ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়েছে।