বাড়ছে করোনা উপসর্গের তালিকা
কাশি, মাথাব্যথা ও অবসাদকে যুক্তরাজ্য উপসর্গ বলেছিল
যুক্তরাজ্যে সরকারিভাবে এতদিন করোনা সংক্রমণের তিনটি উপসর্গের কথা বলা হয়েছে। ফলে অনেকের মধ্যে অন্যান্য উপসর্গ থাকলেও তিনি আইসোলেশন কিংবা সতর্ক হননি। এতে করে অন্যরা সংক্রমিত হয়েছেন।
এমন প্রেক্ষাপটে বিশেষজ্ঞরা করোনার উপসর্গের তালিকা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন। ওএনএস জরিপে করোনার সাধারণ তিনটি উপসর্গের কথা বলা হয়েছে। এগুলো হলো, কাশি, মাথাব্যথা ও অবসাদ।
ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে এক লেখায় বিজ্ঞানীরা বলেছেন, উপসর্গের তালিকা আরও বাড়ানো উচিত, যাতে একজন রোগীও পরীক্ষার বাইরে না থাকে। অন্যান্য দেশগুলোরও এ তালিকা অনুসরণ করে সংক্রমণের সাথে যুক্ত কারণগুলো যুক্ত করা দরকার।
ডা. এলেক্স ক্রোজায়ের ও তার সহকর্মীরা পরামর্শ দিয়েছেন, কেবল জ্বর, কাশি ও স্বাদ না পাওয়ার ভিত্তিতে পরীক্ষা সীমাবদ্ধ রাখলে সংক্রমণের অনেক ঘটনা আড়ালে থেকে যাবে। আর এটি হবে সংক্রমণ ঠেকানোর পদক্ষেপে বড় ধরনের বাধা।
ডা. এলেক্স ক্রোজায়ের বিবিসিকে বলেন, ‘আমরা তিনটি নয়, উপসর্গগুলোর ব্যাপকতা পেয়েছি। মাথাব্যথা, অবসাদ, পেশিতে প্রদাহ, গলাব্যথা ছাড়াও ঠান্ডাজনিত লক্ষণ দেখা গেছে আক্রান্তদের মধ্যে। আর এখন এগুলো খুবই সাধারণ লক্ষণ।’
অবশ্য যুক্তরাজ্য এতদিন করোনার তিনটি উপসর্গের কথা জানালেও যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসি ১১ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৩টি উপসর্গের তথ্য দিয়ে এসেছে। সিডিসির তালিকায় রয়েছে, জ্বর অথবা ঠান্ডা, কাশি, সাধারণ ও তীব্র শ্বাসকষ্ট, অবসাদ, পেশি ও শরীরে ব্যথা, মাথাব্যথা, ঘ্রাণ ও স্বাদ হারানো, গলাব্যথা, নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ, বমি ও ডায়রিয়া। এগুলোর সাথে বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থার তালিকার বেশিরভাগের মিল রয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানটি শুকনা কাশি, ত্বকে র্যাশ, বুকেব্যথা এবং কথা বলতে ও নড়াচড়া করতে কষ্টের মতো লক্ষণ যুক্ত করেছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সেন্টার ফর ডিজিস প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল মৃদু থেকে গুরুতর করোনার লক্ষণ হিসেবে মাথাব্যথা, দুর্বলতা অথবা অবসাদ, পেশিতে প্রদাহ, নাক দিয়ে পানি ঝরা, খাবারের স্বাদ চলে যাওয়া ও গলাব্যথাকে খুবই সাধারণ লক্ষণ হিসেবে উল্লেখ করেছে।