দুই ডোজে ৪৫ সপ্তাহ ব্যবধানে প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি

অনলাইন ডেস্ক
2021-06-29 14:50:09
দুই ডোজে ৪৫ সপ্তাহ ব্যবধানে প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি

দ্বিতীয় ডোজের ছয় মাসের বেশি সময়ের ব্যবধানে তৃতীয় ডোজ দেয়া হলে তা দারুণ কাজ করে

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ডোজের ব্যবধান ৪৫ সপ্তাহ হলে, এটি করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

ল্যানসেটে প্রকাশের অপেক্ষায় থাকা অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের এক গবেষণায় এ তথ্য দেয়া হয়েছে বলে খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

গবেষণায় বলা হয়েছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রথম ডোজ টিকা নেয়ার ১২ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ নিলে যে পরিমাণ প্রতিরোধ ক্ষমতা (ইমিউনিটি) হয়, এ ব্যবধান ৪৫ সপ্তাহ হলে তা চার গুণ পর্যন্ত বাড়ে। এ গবেষণা এটাই প্রমাণ করছে, একটি ডোজ টিকা নেয়ার পর বিলম্বে ক্ষতি নেই। বরং তা আরও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।

গবেষকরা বলছেন, করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটিকে দীর্ঘায়িত করতে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৃতীয় বুস্টার ডোজের দরকার হবে। দ্বিতীয় ডোজের ছয় মাসের বেশি সময়ের ব্যবধানে তৃতীয় ডোজ দেয়া হলে তা দারুণ কাজ করে।

ব্রিটিশ-সুইডিশ ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকার সাথে যৌথভাবে করোনার টিকা উদ্ভাবন করেছে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি। এ প্রতষ্ঠানের টিকা ভারতে ‘কোভিশিল্ড’ নামে উৎপাদন করছে দেশটির সেরাম ইনস্টিটিউট।

গবেষণাটির প্রধান গবেষক অ্যান্ড্রু পোলার্ড বলেন, ‘অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার সরবরাহে ঘাটতিতে থাকা দেশগুলো, বিশেষ করে যারা দ্বিতীয় ডোজ পাওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন, তাদের জন্য এ গবেষণার ফলাফল দারুণ আশা জাগাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম ডোজ থেকে দ্বিতীয় ডোজের ব্যবধান ১০ মাস হলেও তা দুর্দান্ত প্রতিরোধ ক্ষমতা দেখায়।’

গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা প্রথম অনুমোদন দেয় যুক্তরাজ্য। পরে ভারত, বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এ টিকার অনুমোদন দেয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বর্তমানে বিশ্বের অন্তত ১৬০টি দেশে এ টিকা ব্যবহৃত হচ্ছে।


আরও দেখুন: