ভারতে করোনা রুখতে ৮ পদক্ষেপ চান বিশেষজ্ঞরা
ল্যানসেটের মন্তব্য প্রতিবেদনের লেখক হিসেবে বায়োকনের চেয়ারম্যান কিরণ মজুমদার শাও এবং ডা. দেবী শেঠিও রয়েছেন
ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে জরুরি ওষুধপত্র ও হাসপাতালে চিকিৎসার মতো জরুরি স্বাস্থ্য পরিসেবার খরচে লাগাম টানাসহ আটটি জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
মহামারির পরবর্তী ঢেউ আছড়ে পড়ার আগেই এসব পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্বের প্রথম সারির ২১ জন চিকিৎসক, গবেষক ও করোনা বিশেষজ্ঞ। তাদের পরামর্শ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে বিজ্ঞান পত্রিকা ‘ল্যানসেটে’।
এনডিটিভি বলছে, ল্যানসেটের মন্তব্য প্রতিবেদনটির লেখক হিসেবে ভারতের বায়োকনের চেয়ারম্যান কিরণ মজুমদার শাও ও শীর্ষস্থানীয় সার্জন ডা. দেবী শেঠি রয়েছেন।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শগুলো হলো;
১। জরুরি স্বাস্থ্য পরিসেবার সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানের বিকেন্দ্রীকরণ আবশ্যক। যেহেতু জেলায় জেলায় করোনা পরিসংখ্যান এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বিস্তর ফাঁরাক রয়েছে, তাই সমস্ত পরিস্থিতির জন্য এক রকম স্বাস্থ্য ব্যবস্থা চলতে পারে না।
২। সমস্ত জরুরি স্বাস্থ্য পরিসেবার খরচে লাগাম টানা দরকার এবং দেশজুড়ে খরচের একটি জাতীয় নীতি থাকা প্রয়োজন। স্বাস্থ্য বীমায় জোর দেওয়া জরুরি।
৩। করোনা মোকাবিলায় কী কী পদক্ষেপ নেোয়া উচিত, তা প্রমাণসহ প্রকাশ্যে আনতে হবে এবং ছড়িয়ে দিতে হবে।
৪। স্বাস্থ্য পরিসেবার সমস্ত ক্ষেত্রে যত মনুষ্য সম্পদ রয়েছে, তা কাজে লাগানো জরুরি।
৫। কাদের আগে টিকা দেওয়া হবে, সেই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারকেই নিতে দেয়া হোক। এতে টিকা সরবরাহে ঘাটতিও কম হবে। টিকা জনসাধারাণের কাছে এখন জরুরি পণ্য। তাই তা বাজার ব্যবস্থার আওতায় ছেড়ে দেওয়া যায় না।
৬। একেবারে তৃণমূল স্তরে যে সব স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কাজ করে, তাদেরও এই লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেয়া হোক।
৭। সরকারি করোনা সংক্রান্ত তথ্যে স্বচ্ছতা বজায় রাখা জরুরি। তাতে আগে থেকেই আভাস পাওয়া যাবে, আগামী দিনে সংক্রমণ কত এবং কীভাবে ছড়াতে পারে।
৮। মহামারি আবহে অসংগঠিত ক্ষেত্রের বহু শ্রমিক রুজি-রুটি হারিয়েছেন। তাদের স্বাস্থ্যের বিষয়টি মাথায় রেখে সরকারের তরফে আর্থিক সাহায্য দেয়া উচিত। অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ালে সংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীরাও যাতে কাজ ফিরে পান, সেই বিষয়টিতেও সরকারের নজর দেয়া জরুরি।