করোনায় জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসা উদ্ভাবন

অনলাইন ডেস্ক
2021-06-16 05:21:17
করোনায় জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসা উদ্ভাবন

খুবই স্বল্পমাত্রার স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা হয়

করোনায় আক্রান্তদের জীবন রক্ষাকারী আরেকটি চিকিৎসা পদ্ধতি উদ্ভাবনের তথ্য দিয়েছেন গবেষকরা। এতে খুবই স্বল্পমাত্রার স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা হয় এবং মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক কমে যায়।

বিবিসি বলছে, এ চিকিৎসা খুবই ব্যয় বহুল। কারণ, এর মাধ্যমে শরীরে বিদ্যমান ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করতে শিরায় শক্তিশালী সঞ্চালনের মাধ্যমে অ্যান্টিবডি তৈরি করা হয়, যা পরে শরীরের প্রদাহজনিত প্রক্রিয়াকে পরিবর্তন করে ফেলে।

নতুন এ চিকিৎসা পদ্ধতি ট্রায়ালের ফলাফলে দেখা গেছে, করোনায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তিদের প্রতি তিনজনের একজনকে সুস্থ হতে সহায়তা করেছে স্টেরয়েড থেরাপি। ১০০ জন রোগীকে চিকিৎসাটি দিয়ে বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন, অন্তত ছয়জনের জীবন রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত যারা করোনার বিরুদ্ধে লড়ে শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়নি, তাদের এ চিকিৎসা নেওয়া উচিত। এতে ১ থেকে ২ হাজার পাউন্ড খরচ হবে।

৩৭ বছর বয়সী কিম্বার্লি ফিচারস্টোন ট্রায়ালে এ চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলাম। আমি ভাগ্যবান যে, সেখানেই আমাকে এ চিকিৎসা দেওয়া হয়। পদ্ধতিটির সাফল্যে অন্যান্যদের সাথে অংশীদার হতে পেরে আমি আনন্দিত।’

রেজেনোরনের এই একচেটিয়া অ্যান্টিবডি চিকিৎসা ভাইরাসগুলোকে আবদ্ধ করার মাধ্যমে কোষে সংক্রমণ প্রতিহতের পাশপাপাশি নতুন কোষ প্রতিস্থাপনে সাহায্য করে।

যুক্তরাজ্যে ১০ হাজার রোগীর ওপর এ চিকিৎসা চালিয়ে সুনির্দিষ্টভাবে মৃত্যুর ঝুঁকি কম দেখা গেছে। রোগীদের হাসপাতালে থাকার সময় কমে গড়ে চার দিন এবং শ্বাস নিতে ভেন্টিলেটরের প্রয়োজনীয়তা একেবারেই লাগেনি।

গবেষণা দলের যুগ্মপ্রধান স্যার মার্টিন ল্যানডারি বলেন, ‘সঞ্চালনের মাধ্যমে দুটি অ্যান্ডিবডির সমন্বয় করা সম্ভব হলে ৫ শতাংশ মৃত্যুহার কমে যায়। এখানে আমরা দেখতে পেয়েছি, অ্যান্টিভাইরাল চিকিৎসা দেওয়া গেলে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। এটি মৃত্যুর ঝুঁকিতে থাকা তিনজনের একজনকে সুরক্ষা দিতে সক্ষম।’


আরও দেখুন: