‘ডেল্টা’ ধরনে আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকি দ্বিগুণ
করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিধ্বস্ত ভারতে ভয়াবহ সংক্রমণের নেপথ্যে রয়েছে এই ডেল্টা ধরন।
করোনাভাইরাসের ভারতীয় ‘ডেল্টা’ ধরনে (ভ্যারিয়েন্ট) আক্রান্ত হলে হাসপাতালের যাওয়ার ঝুঁকি দ্বিগুণ হতে পারে। এই ধরনের বিরুদ্ধে টিকাও কিছুটা কম কার্যকর।
চিকিৎসা সাময়িকী ল্যানসেটে প্রকাশিত স্কটিশ এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমনটা দাবি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, স্কটল্যান্ডে করোনার ‘আলফা’ ধরনে সংক্রমিত ১৯ হাজার ৫৪৩ জনের মধ্যে ৩৭৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আর ‘ডেল্টা’ ধরনে সংক্রমিত ৭ হাজার ৭২৩ জনের মধ্যে ১৩৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
স্ট্রাহক্লাইড বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ এপিডোমাইলজির অধ্যাপক ক্রিস রবার্টসন বলেছেন, বয়স ও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীরা করোনার ‘ডেল্টা’ ধরনে আক্রান্ত হলে হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকি দ্বিগুণ হয়ে যায়।
গবেষণায় আরও বলা হয়, ইংল্যান্ডের দক্ষিণ–পূর্বে কেন্ট এলাকায় প্রথম শনাক্ত হওয়া ‘আলফা’ ধরনের বিরুদ্ধে টিকা যতটা কার্যকর ‘ডেল্টা’ ধরনের বিরুদ্ধে তার চেয়ে কম কার্যকর।
রবার্টসন বলেন, দুই ডোজ টিকা অথবা এক ডোজ টিকা নেওয়ার ২৮ দিনের মধ্যে করোনা শনাক্ত হলে হাসপাতালে যাওয়ার ঝুঁকি ৭০ শতাংশ কমে যায়।
তিনি বলেন, ফাইজার–বায়োএনটেকের টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার দুই সপ্তাহ পরে ‘ডেল্টা’ ধরন থেকে ৭৯ শতাংশ সুরক্ষা পাওয়া যায়। আর ‘আলফা’ ধরন থেকে ৯২ শতাংশ সুরক্ষা পাওয়া যায়।
অন্যদিকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ‘ডেল্টা’ ধরন থেকে ৬০ শতাংশ সুরক্ষা দেয়। আর ‘আলফা’ ধরন থেকে ৭৩ শতাংশ সুরক্ষা দিতে পারে বলেও জানান তিনি।
গবেষকেরা বলছেন, ডেল্টা ধরনের বিরুদ্ধে এক ডোজ টিকার চেয়ে দুই ডোজ টিকা বেশি কার্যকর হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিধ্বস্ত ভারতে ভয়াবহ সংক্রমণের নেপথ্যে রয়েছে এই ‘ডেল্টা’ ধরন। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় সংক্রমিতদের নমুনা বিশ্লেষণ করেও ৮০ ভাগের বেশি এই ধরনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।