দূষণে বাতিল জনসনের ৬ কোটি টিকা!
যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে এসব টিকার ১ কোটি ডোজ বিতরণের পরিকল্পনা করছে এফডিএ
জনসনস অ্যান্ড জনসনের ৬ কোটি ডোজ টিকা ব্যবহার করা যাচ্ছে না বলে তা বাতিলের জন্য ওষুধ কোম্পানিটিকে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)।
জনসনের ‘সংকট-কবলিত’ বাল্টিমোর কারখানায় উৎপাদিত টিকাগুলো সম্ভাব্য দূষণের কারণে ব্যবহার করা যাচ্ছে না বলে খবর দিয়েছে খবর নিউ ইয়র্ক টাইমস।
যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে বা অন্যান্য দেশে এসব টিকার ১ কোটি ডোজ বিতরণের পরিকল্পনা করছে এফডিএ। এমারজেন্ট বায়োসলিউশনস ঠিকঠাক কারখানাটিতে উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করেছিল কিনা সে বিষয়ে নিশ্চয়তা দিতে পারেনি নিয়ন্ত্রক সংস্থা। উদ্বেগের কারণে দুই মাস ধরে বন্ধ কারখানাটি এমারজেন্ট আবার চালু করতে পারবে কিনা তা নিয়েও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে জনসনস অ্যান্ড জনসনের যে টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে, তা ওষুধ কোম্পানিটির নেদারল্যান্ডসের কারখানায় উৎপাদিত, যেটা এমারজেন্ট পরিচালনা করছে না।
বাল্টিমোরের কারখানায় বড় ধরনের উৎপাদন ত্রুটি ধরা পড়ার পর দুটি টিকার অন্তত ১৭ কোটি ডোজের মান নিয়ে সংকট সৃষ্টি হয়। এমারজেন্ট পরিচালিত বাল্টিমোরের কারখানায় জনসনস অ্যান্ড জনসনের ১০ কোটি এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার কমপক্ষে ৭ কোটি ডোজ টিকা উৎপাদন করা হয়।
গত মার্চে এমারজেন্ট শনাক্ত করে যে, এ কারখানার কর্মীরা অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা প্রস্তুতে ব্যবহৃত একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান জনসনস অ্যান্ড জনসনের টিকার একটি ব্যাচের সঙ্গে মিশিয়ে ফেলেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় কর্মকর্তারা এ খবর জানার পর কারখানায় উৎপাদন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা উৎপাদনে এমারজেন্টের অনুমতি বাতিল করেন এবং জনসন অ্যান্ড জনসনকে নির্দেশ দেন ওই কারখানায় তাদের টিকার উৎপাদন কার্যক্রম সরাসরি তত্ত্বাবধানে।
এক বিবৃতিতে এফডিএ জানিয়েছে, মজুদ থাকা এসব চালানের ১০ লাখ ডোজ ব্যবহারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে টিকা উৎপাদন কারখানার নথিপত্র ও উৎপাদকের মান যাচাই পরীক্ষার ফলাফলের ওপর একটি বিস্তারিত মূল্যায়ন সম্পন্ন করবে। পাশপাশি বিদ্যমান জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থার বিষয়ও বিবেচনায় রেখেছে তারা।
তবে এফডিএর সিদ্ধান্তের বিষয়ে জনসনস অ্যান্ড জনসন এবং এমারজেন্টের প্রতিনিধিরা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।