জনসনের টিকায় রক্ত জমাট বাঁধার ‘ভ্রান্তি’
প্রায় ৮০ লাখ ডোজ টিকা দেওয়ার পর মাত্র ১৫টি ঘটনায় রক্ত জমাট বাঁধে
যুক্তরাষ্ট্র ১১ দিন জনসনস অ্যান্ড জনসনের টিকা প্রয়োগ স্থগিত রেখেছিল। টিকা গ্রহণকারীদের শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার সুনির্দিষ্ট কয়েকটি ঘটনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
গত সপ্তাহে এ স্থগিতাদেশ তুলে নিয়েছে সিডিসি এবং যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)। একটি সতর্কতা জুড়ে দেওয়া হলেও জনসনসকে পূর্ণ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে খবর দিয়েছে সিএনএন।
এ সময়ে তদন্তে দেখা গেছে, জনসনস অ্যান্ড জনসনের টিকায় যেসব ঝুঁকির কথা বলা হচ্ছে, তা খুবই কম। শুরুতে যে ছয়জনের দেহে রক্ত জমাট বাঁধে, এর সাথে আরও নয়জনের ঘটনাসহ মোট ১৫টি তদন্ত করা হয়। প্রায় ৮০ লাখ ডোজ টিকা দেওয়ার পর মাত্র ১৫টি ঘটনায় রক্ত জমাট বাঁধে। এদের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়।
জনসনস অ্যান্ড জনসন বলছে, রক্ত জমাট বাঁধাদের শরীরে প্লাটিলেটের মাত্রা খুবই কমে যায়, যাকে থ্রোমোসাইটোপেনিয়া উপসর্গের থ্রম্বোসিস (টিটিএস) বলা হয়। মারা যাওয়া তিনজনের শরীরে টিটিএসের মাত্রা খুবই কমে গিয়েছিল।
তদন্তের আলোকে বলা হয়েছে, জনসনস অ্যান্ড জনসনের টিকাগ্রহণকারীদের মধ্যে ০.০০০২ শতাংশের মধ্যে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। আর টিটিএসে মৃত্যুর হারও অনেক কমে যায়।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ১০ জনে একজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এটি বিবেচনায় নিলে জনসনস অ্যান্ড জনসনের টিকার ঝুঁকি খুবই কম। তুলনা করলে জনসনের টিকাগ্রহণকারী প্রতি ৫ লাখে একজনের মধ্যে টিটিএসের ঘটনা ঘটেছে।
এক বিবৃতিতে এফডিএর ভারপ্রাপ্ত কমিশনার ডক্টর জ্যানেট উডকুক বলেছেন, ‘জনসনের টিকার সুবিধার চেয়ে যে মাত্রায় ঝুঁকির কথা বলা হচ্ছে, তা খুবই কম। ফলে ছোট ছোট ঝুঁকিকে বিবেচনা করেও টিকাটি গ্রহণ যুক্তিযুক্ত হবে।’