গ্রিক শব্দে হবে নাম, ভারতীয় ধরন পাল্টে হলো ‘ডেলটা’
নাম নিয়ে বিতর্ক এড়াতে এ পদক্ষেপ নিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
করোনাভাইরাসের ধরন বা ভ্যারিয়েন্টগুলোর নামকরণ করার উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এজন্য ব্যবহার করা হবে গ্রিক অক্ষর। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে যে ভ্যারিয়েন্টগুলো পাওয়া গেছে, সেগুলোর জন্য এখন থেকে গ্রিক অক্ষর ব্যবহার করবে ডব্লিউএইচও।
বিবিসি বলছে, ডব্লিউএইচও যুক্তরাজ্যের ভ্যারিয়েন্টের নাম দিয়েছে আলফা। একইভাবে সংস্থাটি দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতের ভ্যারিয়েন্টের নাম দিয়েছে বেটা ও ডেলটা। নাম নিয়ে যে ধরনের বিতর্ক দেখা দিয়েছে, তা এড়াতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ভারত সরকার দেশটিতে পাওয়া ধরনটির নাম দিয়েছিল বি.১.৬১৭.২। গত অক্টোবরে এটি পাওয়া যায়। কিন্তু এ ধরনকে ‘ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট’ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছিল। যদিও ‘ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট’— শব্দবন্ধ ডব্লিউএইচও কখনো ব্যবহার করেনি।
ভারত সরকার যে যে লেখায় বা পোস্টে ‘ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট’ কথাটি থাকবে, সেগুলো বাদ দিতে সোশাল মিডিয়া কর্তৃপক্ষগুলোকে চিঠি দিয়েছিল।
এ বিষয়ে ডব্লিউএইচও’র করেনাবিষয়ক কারিগরি প্রধান মারিয়া ভ্যান কেরখোভ এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘করোনাভাইরাসের নতুন ধরন চিহ্নিত ও তা নামকরণের ক্ষেত্রে কোনো দেশের নাম কলঙ্কিত করা উচিত নয়।’ নতুন ধরন ছড়ানো ঠেকাতে তা চিহ্নিতকরণ ও এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞানভিত্তিক তথ্য সরবরাহ বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
মারিয়া ভ্যান কেরখোভ বলেন, নতুন নাম দিয়ে ভ্যারিয়েন্টগুলোর বৈজ্ঞানিক নাম প্রতিস্থাপিত করা হবে না। নতুন ধরনের সংখ্যা যদি ২৪ ছাড়িয়ে যায়, তবে নতুন নামকরণ করা হবে। কারণ, গ্রিক অক্ষরে বর্ণসংখ্যা ২৪টি।