করোনার থাবায় অনাথ হওয়া শিশুদের জন্য স্বাস্থ্যবিমা
ফাইল ছবি
মহামারী করোনার ভয়াল থাবায় পর্যুদস্ত ভারত। প্রতিনিয়ত বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। দৈনিক প্রাণ হারাচ্ছেন কয়েক হাজার মানুষ। শোকাহত পরিবারগুলো অর্থনৈতিকভাবেও দুর্বল হয়ে পড়ছে।
কোভিড আক্রান্তে বাবা-মা হারিয়ে এতিম হচ্ছে শতশত শিশু। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকেও কেড়ে নিয়েছে করোনা। দায়দায়িত্ব নেয়ার মতো কেউ না থাকায় ভবিষ্যত অন্ধকার দেখছে এসব কোমলমতিরা। কিন্তু তাদের এই হতাশার মাঝে আলোর প্রদ্বীপ জ্বাললো দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।
শুক্রবার (২৮ মে) ভারতের সুপ্রিম কোর্ট কোভিডের থাবায় অনাথ হওয়া শিশুদের ব্যাপারে কেন্দ্রের কাছে জানতে চায়। এমনকি তাদের তথ্যপঞ্জি নির্দিষ্ট পোর্টালে আপলোড করার নির্দেশও দেওয়া হয়। অনাথ শিশুদের ব্যাপারে সরকারের সিদ্ধান্তও পরিস্কার করার আহ্বান জানানো হয়।
এরপর শনিবার এ ব্য়াপারে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। করোনায় অনাথ হওয়া শিশুদের কল্যাণে ঘোষণা করেন একগুচ্ছ সুবিধা।
নরেন্দ্র মোদী জানান, প্রথমত কোভিডে অনাথ হওয়া শিশুদের বিনামূল্যে শিক্ষার সুবিধা পাবে। ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত বছরে ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্যবিমার সুবিধা রাখা হয়েছে তাদের জন্য। এই বিমার প্রিমিয়াম দেবার জন্য গঠন করা হয়েছে পিএম কেয়ার্স ফান্ড। ১৮ বছর বয়স হবার পরেই এসব শিশুরা আগামী ৫ বছরের জন্য স্টাইপেন্ডও পাবে।
উচ্চশিক্ষার জন্য অর্থের যোগানসহ প্রয়োজনীয় সব সহায়তারও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এই স্বাস্থ্যবিমায়। উচ্চশিক্ষার জন্য বিনাসুদে ঋণও পাবে তারা। ২৩ বছর বয়সে কেন্দ্রীয় সরকারের পিএম কেয়ার্স তহবিল থেকে এককালীন ১০ লক্ষ টাকা দেয়া হবে তাদের।
অনাথ শিশুদের কেন্দ্রীয় সরকারের পরিচালনাধীন বিভিন্ন আবাসিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করা যাবে। কোনও বেসরকারি স্কুলে ভর্তি হতে চাইলেও তাদের যাবতীয় ফি নিয়ম মেনে পরিশোধ করবে পিএম কেয়ার্স। এমনকি ইউনিফর্ম ও বই কেনার খরচও বহন করবে এই তহবিল।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, শিশুরাই দেশের ভবিষ্যৎ। তাদের সহায়তা, শিক্ষা ও সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য সবকিছু করবে কেন্দ্রীয় সরকার।