ইয়েলো ফাঙ্গাসের উপসর্গ, প্রতিকারে করণীয়

অনলাইন ডেস্ক
2021-05-26 02:34:03
ইয়েলো ফাঙ্গাসের উপসর্গ, প্রতিকারে করণীয়

ব্ল্যাক ও হোয়াইটের চেয়ে বেশি বিপজ্জনক ইয়েলো ফাঙ্গাস

ভারতে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তিদের দেহে প্রাণঘাতী ব্ল্যাক ও হোয়াইট ফাঙ্গাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার উদ্বেগের মধ্যে এবার এক ব্যক্তির শরীরে ‘ইয়েলো’ ফাঙ্গাস শনাক্ত হয়েছে।

উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ব্যক্তির দেহে এটি শনাক্ত হয় বলে খবর দিয়েছে দ্য ইনডিপেনডেন্ট।

ওই হাসপাতালের নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ ডা. বিপি ত্যাগী বলেন, ‘৪৫ বছরের ওই ব্যক্তি একজন পুরুষ। তার দেহে ব্ল্যাক, হোয়াইট এবং ইয়েলো তিন ধরনের ফাঙ্গাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে। সাধারণত সরীসৃপের দেহে ইয়েলো ফাঙ্গাসের সংক্রমণ দেখা যায়। আমি এই প্রথম কোনো মানুষের দেখে এটির সংক্রমণ দেখতে পেলাম।’

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইয়েলো ফাঙ্গাস সংক্রমণ ব্ল্যাক ও হোয়াইট ফাঙ্গাসের চেয়ে বেশি বিপজ্জনক। এটি চিকিৎসায় অধিক সময় লাগে।

ইয়েলো ফাঙ্গাসের উপসর্গ

১. দুর্বল বোধ হওয়া

২. ক্ষুধামন্দা

৩. হজমে সমস্যা

৪. বিপাক প্রক্রিয়া ধীরগতির করে ফেলা

৫. অস্বাভাবিক ওজন হ্রাস

৬. ক্ষত নিরাময়ে বিলম্ব

৭. ক্ষত থেকে পুঁজ বের হওয়া

৮. আলস্য

৯. চোখ বুজে আসা

১০. অপুষ্টি

১১. অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল

১২. শরীরে পচন ধরা প্রভৃতি

কীভাবে ছড়ায়

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্যান্য ফাঙ্গাসের মতোই অপরিচ্ছন্ন ও দূষিত পরিবেশের মাধ্যমে ইয়েলো ফাঙ্গাসের সংক্রমণ ঘটে। অতিরিক্ত আর্দ্র আবহাওয়া এর সংক্রমণ ছড়াতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। পচা-বাসি-পুরোনো খাবার থেকেও এটি ছড়ায়। শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমেও শরীরে প্রবেশ করতে পারে।

ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মানুষের মুখমণ্ডলই আক্রান্ত হয়। আর ইয়েলো ফাঙ্গাসের সংক্রমণের উপসর্গ দেখা দেয় শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গে আক্রমণের মধ্য দিয়ে। এই ফাঙ্গাসের সংক্রমণে গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক প্রক্রিয়াগুলো বিঘ্নিত হয়।

আক্রান্ত হলে করণীয়

ইয়েলো ফাঙ্গাসের সংক্রমণে মানুষের দেহের অভ্যন্তরীণ ক্ষতি হতে পারে। তাই একদম শুরুতেই সংক্রমণের বিষয়ে সতর্কতা ও মনোযোগ জরুরি।

সঠিক সময়ে চিকিৎসাসেবা নেওয়া হয়, তাহলে ইয়েলো ফাঙ্গাস নিরাময়যোগ্য। হলুদ ছত্রাকের সংক্রমণে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ইনজেকশন দেওয়া হয়।

অ্যামফোটেরিসিন বি ওষুধ দিয়ে ইয়েলো ফাঙ্গাসের চিকিৎসা করা হয় বলে জানিয়েছেন গাজিয়াবাদের ওই নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ ডা. বিপি ত্যাগী।


আরও দেখুন: