‘ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট’ লেখা বাদ দিতে দিল্লির চিঠি

অনলাইন ডেস্ক
2021-05-23 00:12:41
‘ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট’ লেখা বাদ দিতে দিল্লির চিঠি

সংগৃহীত ছবি

করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ধরনটিকে ‘ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট’ বলায় আপত্তি জানিয়েছে ভারত সরকার। যে যে লেখায় বা পোস্টে ‘ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট’ কথাটি থাকবে, সেগুলো বাদ দিতে নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে সোশাল মিডিয়া কর্তৃপক্ষগুলোকে বলা হয়েছে।

ভারতের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে খবর দিয়েছে রয়টার্স।

বিবিসি বলছে, যতগুলো কনটেন্টে ‘ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট’ কথাটি রয়েছে, তার সবগুলো অতিসত্বর তুলে নিতে বলা হয়েছে সোশাল মিডিয়া কর্তৃপক্ষগুলোকে।

প্রায় দেড় বছর আগে মানুষে সংক্রমিত হওয়া নতুন করোনাভাইরাস রূপ বদল করে চলছে। এর মধ্যে গত বছর ভারতে এর যে পরিবর্তিত রূপ শনাক্ত হয়, তার আনুষ্ঠানিক নাম বি.১.৬১৭ হলেও এটি ‘ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট’ নামেই পরিচিতি পেয়েছে। এর আগে যুক্তরাজ্যের, ব্রাজিলের ও দক্ষিণ আফ্রিকার ধরনগুলোও ‘ইউকে ভ্যারিয়েন্ট’ ‘ব্রাজিল ভ্যারিয়েন্ট’ ও ‘সাউথ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট’ নামে পরিচিতি পায়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যে, ভারতীয় ধরনটি প্রায় ৪৪টি দেশ ও এলাকায় পৌঁছেছে; এটার তিনটি ‘সাব টাইপ’র মধ্যে একটি বাংলাদেশেও শনাক্ত হয়েছে। এরপর সংস্থাটি ধরনটিকে বিশ্বজুড়ে ‘উদ্বেগজনক’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

তবে ১১ মে ডব্লিউএইচওর বক্তব্য আসার পর ভারত সরকারের পক্ষ থেকে সে দেশের গণমাধ্যমগুলোকে ‘ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট’ বলতে মানা করা হয়েছিল। এখন সোশাল মিডিয়া থেকেও এ শব্দটি বাদ দেওয়ার অনুরোধ জানানো হলো।

চিঠিতে বলা হয়, ‘এটা সম্পূর্ণ ভুয়া; কোভিড-১৯ এর বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত এমন কোনো ধরনই নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট বলে কিছু কখনো বলেনি। তারা বলেছে বি.১.৬১৭।’

এ বিষয়ে চেষ্টা করেও ভারতের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কোনো বক্তব্য না পাওয়ার কথা জানিয়েছে রয়টার্স। তবে একটি সোশাল মিডিয়ার নির্বাহী কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ভারত সরকার যা করতে বলেছে, তা করা খুব কঠিন। কারণ এমন কনটেন্ট কোটি কোটি হতে পারে।


আরও দেখুন: