আফ্রিকান ধরন ভেঙে দিচ্ছে ফাইজার টিকার ‘প্রতিরোধ’
ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) এক গবেষণায় দেখেছে, দেশে ৮০ শতাংশের বেশি রোগী অত্যন্ত সংক্রামক দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত।
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, গত ১৮ থেকে ২৪ মার্চের মধ্যে আইসিডিডিআরবি’র বিজ্ঞানীরা করোনা রোগীদের প্রায় ৫৭টি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স করে ৪৬টি অর্থাৎ ৮০ শতাংশের বেশি দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যারিয়েন্ট পেয়েছেন।
কিন্তু ইসরায়েলের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকান ধরন কিছুটা হলেও ফাইজার-বায়োএনটেক টিকার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, প্রায় ৪০০ লোকের অংশগ্রহণে করা গবেষণাটি শনিবার (১০ এপ্রিল) প্রকাশ করা হয়।
ফাইজার টিকার একটি অথবা দুটি ডোজ নেওয়ার ১৪ দিন বা তারও বেশি দিন পর করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং টিকা না নিয়েও আক্রান্তদের ওপর এ গবেষণা চালায় তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসরায়েলের বৃহত্তম স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী ক্লেলিট।
গবেষণায় অংশ নেওয়াদের মধ্যে ১ শতাংশ মানুষের মাঝে দক্ষিণ আফ্রিকার ধরন বি.১.৩৫১ পাওয়া গেছে। রোগীদের মধ্যে যারা ফাইজার টিকার দুটি ডোজ নিয়েছেন, তাদের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার ধরনের ব্যাপকতার হার টিকা না নেওয়াদের তুলনায় ৮ গুণ বেশি ছিল। এর অর্থ, ফাইজার টিকা প্রকৃত করোনাভাইরাস এবং ব্রিটেনে পাওয়া ধরনের তুলনায় দক্ষিণ আফ্রিকার ধরনের বিরুদ্ধে কম কার্যকর।
গবেষণায় আরও বলা হয়, যারা টিকা নেননি তাদের তুলনায় টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া লোকজনের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার ধরন তুলনামূলকভাবে বেশি হারে পাওয়া গেছে। তার মানে দাঁড়ায়, দক্ষিণ আফ্রিকার ধরন কিছু ক্ষেত্রে টিকার প্রতিরোধ ভেঙে ফেলতে সক্ষম।
এর আগে গত ১ এপ্রিল ফাইজার-বায়োএনটেকের পক্ষ থেকে বলা হয়, করোনা প্রতিরোধে তাদের টিকা ৯১ শতাংশ কার্যকর। দক্ষিণ আফ্রিকার ধরনের বিষয়ে তাদের দাবি, দক্ষিণ আফ্রিকায় টিকা নেওয়া ৮০০ স্বেচ্ছাসেবীর মধ্যে ৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ৯ জনের মধ্যে ছয়জনের শরীরে দক্ষিণ আফ্রিকার ধরনের উপস্থিতি রয়েছে।