জার্মানিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা দেওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে৷ এদিকে করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে চলেছে দ্রুতগতিতে৷ চ্যান্সেলর ম্যার্কেল ও মুখ্যমন্ত্রীরা আগামী সপ্তাহে পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবেন৷

রবার্ট কখ ইনস্টিটিউটসহ একাধিক বিশেষজ্ঞ জার্মানিতে মারাত্মক এক অবস্থার পূর্বাভাস দিচ্ছেন৷ করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হার এত দ্রুত বেড়ে চলেছে, যে আসন্ন বড়দিনের ছুটির পর পরিস্থিতি সামলানো কঠিন হয়ে পড়বে বলে তারা আশঙ্কা করছেন৷

মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) দৈনিক সংক্রমণের গড় হার ছিল ৮৩ দশমিক সাত৷ অথচ এক সপ্তাহ আগে সেই হার ছিল ৬৮৷ সংক্রমণের এই গতি বজায় থাকলে হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের উপর আবার চাপ সৃষ্টি হতে পারে৷ ৮০ বছরের বেশি বয়সের বেশিরভাগ মানুষ এরই মধ্যে করোনা টিকা পেয়ে গেছেন বলে মৃত্যুর হার কিছুটা কমলেও অন্য বয়সের মানুষ করোনা সংক্রমণের কারণে গুরুতর অসুস্থ হতে শুরু করেছেন৷

করোনা সংকটের বর্তমান পর্যায়ে জার্মানির সরকার একাধিক ক্ষেত্রে ব্যর্থ হচ্ছে বলে চারিদিকে অভিযোগ উঠছে৷ নেতিবাচক পূর্বাভাস সত্ত্বেও লকডাউন কিছুটা শিথিল করার কারণে সংক্রমণ বাড়ছে৷ করোনার আরও ছোঁয়াচে সংস্করণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতা আগেই শুরু হয়ে গিয়েছিল৷ আগামী ২২শে মার্চ চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা আবার মিলিত হয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে আলোচনা করবেন৷ এর আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দৈনিক সংক্রমণের গড় হার পর পর তিন দিন ধরে একশোর বেশি হলে আবার কড়া সিদ্ধান্ত নেবার কথা৷

অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোম্পানির করোনার টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি এখনো কাটছে না৷ কোম্পানির অন্যতম দপ্তর যে দেশে, সেই সুইডেনও এই টিকা বন্ধ রাখায় সংশয় বাড়ছে৷ বিশেষজ্ঞরা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি আছে কিনা সে সম্পর্কে এখনো চূড়ান্ত রায় দিতে পারছে না৷ তাই আপাতত এ টিকা দেয়া বন্ধ রয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউরোপীয় ওষুধ সংস্থার বিশেষজ্ঞরা বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

তবে কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, সেই ঝুঁকির সম্ভাবনা এতই কম যে নির্দ্বিধায় এই টিকা নেওয়া যেতে পারে৷ কারণ ঝুঁকির তুলনায় টিকার ফলে উপকারের মাত্রা অনেক বেশি৷ মানুষের সংশয় কাটাতে কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্রের পর সবার জন্য এই টিকা নেবার সুযোগ দেবার প্রস্তাবও শোনা যাচ্ছে৷

তথ্য সূত্র: রয়টার্স, ডিপিএ