জো বাইডেনের শারীরিক অবস্থা ও স্বাস্থ্যঝুঁকি
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেন
মার্কিন নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে দেশটির ডেমোক্র্যাটিক পার্টির জো বাইডেন। প্রবীণ এ রাজনীতিককে ঘিরে শুরু হয়েছে নানা কৌতুহল। এর মধ্যে বয়স বিবেচনায় শারীরিকভাবে কেমন তারও কৌতুহল রয়েছে অনেকের মাঝে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ৭০ বছর বয়সে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করাটা ছিল একটা রেকর্ড। এখন তার বয়স ৭৪। আর জো বাইডেনের বয়স ৭৮ বছর। তবে ধূমপান ও অ্যালকোহলের আসক্তি না থাকায় শারীরিক অবস্থা তার খুবই ভালো বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে বাইডেনের চিকিৎসক বলছেন, তিনি পুরোপুরি স্বাস্থ্যবান। তার স্বাস্থ্যের একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেন জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিনের সহযোগী অধ্যাপক কেভিন ও' কোনার।জানান, বাইডেন বলবান ও শারীরিকভাবে তিনি খুবই ভালো।
ও' কোনার বলেন, বাইডেনের ব্লাড থিনার, এ্যাসিড রিফ্লাক্স, কোলেস্টেরল এবং মৌসুমি রোগ মূল্যায়ন করে এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। তিনি ধূমপান এবং মদ পান করেন না। এমনকি সপ্তাহে পাঁচ দিন ব্যায়াম করেন বাইডেন।
তাছাড়াও তার সাইনাস, পিত্তথলি এবং শরীরের ত্বকও যথেষ্ট ভাল বলে রিপোর্টটিতে উল্লেখ করা হয়েছে। বাইডেনের উচ্চতা পাঁচ ফিট ১১ ইঞ্চি, ওজন ১৭৮ পাউন্ড এবং ব্লাড প্রেশার ১২৮/৮৪।
ও' কোনার বলেন, ২০০৯ সালে ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকাকালে তার এপিসোডিক অ্যাট্রিল ফাইব্রিলেশন ছিল, তখন মাঝেমাঝে তার হার্টের রিদমের একটু ছন্দপতনও হতে শুরু করেছিল। অবশ্য পরবর্তীতে এই উপসর্গ বেশি দিন ছিল না।
টুফ্টস মেডিকেল সেন্টারের বার্ধক্যবিদ্যার প্রধান রিচার্ড ডুপী বলেন, একজন বয়স্ক ব্যক্তি যিনি এখনো জীবন নির্বাহ করে যাচ্ছেন তার জন্য প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জ হয়ে যায় তার ডিউটি পালনে। কিন্তু তিনি অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানের সমন্বয়ে কাজটি সুচারুভাবে সম্পন্ন করতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, একজন ৯৫ বছর বয়স্ক ব্যক্তির স্মৃতিশক্তি একজন কয়েক দশক ছোট কারোর চেয়ে ভালো থাকতে পারে।
বাইডেনের স্বাস্থ্যঝুঁকি
রিচার্ড ডুপি বলেন, বয়স বাড়ার সাথে সাথে স্বাস্থ্য ঝুঁকি চলে আসে। তবে কিছু তো ব্যতিক্রম থাকেই। ৬৫ বছরের উপরে একজন ব্যক্তির রক্তনালীর সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে প্রতি পাঁচ বছরে। যেটি ৬৫ বছরের উপরে প্রতি ১৪ জনের ১ জনের হতে পারে এবং ৮০ বছরের উপরে প্রতি ৬ জনের একজনের হবে।
যদিও বাইডেনের এখন স্বাস্থ্য ভালো আছে তথাপি তিনি ঝুঁকি মুক্ত নন। ১৯৮৮ সালে তার দুবার মস্তিষ্কে সমস্যা (ব্রেন অ্যানিউরিজম) দেখা দিয়েছিল। তবে তার চিকিৎসক বলছেন তিনি এখন এসব ঝুঁকিতে নেই।
জনস হপকিনস মেডিসিনের এন্ডোভাসকুলার নিউরোসার্জারির প্রধান ক্যামেরন ম্যাকডুগাল বলেন, বাইডেনের এই মেডিকেল ইতিহাস তার ভবিষ্যৎ স্বাস্থ্যের নিশ্চয়তা দেয় না। যে কারো অ্যানিউরিজম থাকতে পারে। তবে যদি চিকিৎসায় ভালো হয়, তাদের আবার অ্যানিউরিজম হতে পারে এমন কাজ করা উচিত নয়।
সূত্র: ওয়েবএমডি