করোনার ১০ ভ্যাকসিন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের চূড়ান্ত ধাপে
বার্লিনে অনুষ্ঠিত বিশ্ব হেলথ সামিটের উদ্বোধনী অধিবেশনে ভিডিও বক্তব্য দেয়ার সময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেডরস আধানম গেব্রিয়াসিস। ছবি- সংগৃহীত।
করোনা ভাইরাসের ১০টি ভ্যাকসিন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের একেবারে চূড়ান্ত ধাপে রয়েছে- এমনটি জানিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেডরস আধানম গেব্রিয়াসিস বলেছেন, বিশ্বে করোনার ভ্যাকসিন তৈরিতে বিজ্ঞানীরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আরও বেশকিছু ভ্যাকসিন বর্তমানে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে রয়েছে। খবর-বাসস।
তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র উপায় সম্মিলিতভাবে কাজ এবং দরিদ্র দেশগুলোর ভ্যাকিসন পাওয়া নিশ্চিত করা। ভ্যাকসিন জাতীয়করণ করলে মহামারি না কমে বরং তা আরো দীর্ঘায়িত হবে।
বার্লিনে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ওয়ার্ল্ড হেলথ সামিটের উদ্বোধনী অধিবেশনে এক ভিডিও বক্তব্যে আধানম গেব্রিয়াসিস এসব কথা বলেন। তিনি করোনার ভ্যাকসিন বাজারজাত করার বিষয়ে বৈশ্বিক সংহতির আহ্বান জানিয়ে বলেন, ভ্যাকসিনকে অবশ্যই বৈশ্বিক পণ্যে পরিণত করতে হবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, জাপানসহ আরো কিছু দেশ ইতোমধ্যে ভ্যাকসিন তৈরির কোম্পানিগুলোর সাথে চুক্তি করেছে। কিন্তু ভ্যাকসিন পাওয়ার দৌড়ে দরিদ্র দেশগুলো পিছিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এ প্রেক্ষিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দরিদ্র দেশগুলোর ভ্যাকসিন পাওয়া নিশ্চিত করতে কোভ্যাক্স নামে পরিচিত আন্তর্জাতিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে। কিন্তু প্রকল্পটি তহবিল সংকটে ভুগছে।