আজ বিশ্ব ট্রমা দিবস
প্রতীকী ছবি।
আজ ১৭ অক্টোবর 'বিশ্ব ট্রমা দিবস'। সড়ক দুর্ঘটনাসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনায় আহত মানুষের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সচেতনতা তৈরিতে এ দিবসটি পালন করা হয়।
ট্রমা বলতে শরীরে সৃষ্ট কোনো আঘাত ও মানসিকভাবে বিপর্যয়কে বোঝায়। সড়ক দুর্ঘটনা, আগুন লাগা, পুড়ে যাওয়া, গাছ বা উঁচু ভবন থেকে পড়ে আঘাত পাওয়া, নারীদের প্রতি হিংসাত্মক আচরণ, শিশু ও বৃদ্ধসহ ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অপরাধ, এসব নানাবিধ কারণে ট্রমা হতে পারে। ট্রমার সবচেয়ে বড় কারণ হলো সড়ক দুর্ঘটনা। অনেক আঘাত অস্থায়ী বা স্থায়ী অক্ষমতা সৃষ্টি করে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নানা আয়োজনে দিবসটি পালিত হলেও বাংলাদেশে সরকারি পর্যায়ে এ পর্যন্ত দিবসটি পালন করা হয়নি। কয়েকটি সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের আয়োজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে।
জাতীয় অপরাধ-সংক্রান্ত রেকর্ড বু্যরোর (এনসিআরবি) তথ্য অনুযায়ী- ২০১৫ সালে প্রায় ৪ লাখ ১৩ হাজার ৪৫৭ জন শুধুমাত্র সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন। ট্রমার কারণে রোগের হার এখন আতঙ্কজনকভাবে বাড়ছে। এতে শুধু অসুস্থতা ও মৃতু্যর হার বাড়ছে তা নয়, বরং সড়ক দুর্ঘটনায় তরুণদের মৃতু্যর কারণে জাতীয় উৎপাদনে বিপর্যয় আনছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় ১২ লাখ মানুষ দুর্ঘটনায় নিহত হয় এবং আহত হয় ৫ কোটির বেশি মানুষ। বাংলাদেশে সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও সড়ক দুর্ঘটনা প্রতি বছর কয়েক হাজার মানুষের মৃতু্য হয়। যত মানুষ নিহত হয়, তার চেয়ে তিন গুণ বেশি মানুষকে পঙ্গুত্ববরণ করতে হয়। ১০ গুণ মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয় এবং ৩০ গুণ মানুষকে চিকিৎসা নিতে হয়। ফলে বিশেষজ্ঞরা আঘাতজনিত ট্রমা কমাতে যথাযথ সতর্কতা অবলম্বনের প্রয়োজনীয়তার কথা বলছেন।
আজ শনিবার দিবসটি উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এবারও সড়ক ও বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন বিশ্ব ট্রমা দিবস পালন করছে।