করোনা প্রতিরোধে হার্ড ইমিউনিটি অনৈতিক: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেডরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস। ছবি- সংগৃহীত
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেডরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস করোনা ভাইরাসে গণহারে আক্রান্ত হয়ে প্রতিরোধ (হার্ড ইমিউনিটি) ব্যবস্থাকে উড়িয়ে দিয়ে এটাকে অনৈতিক বলে মত দিয়েছেন। খবর- বিবিসি।
যখন কোন একটি গোষ্ঠির মধ্যে কোন মহামারি দেখা দেয় তখন ভ্যাকসিন প্রয়োগের মাধ্যমে অথবা আক্রান্ত গোষ্ঠীর অধিকাংশ লোকদের মধ্যে রোগটি ছড়িয়ে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলাই হলো হার্ড ইমিউনিটি।
তবে, টিকার অভাবে অনেকে এই পদ্ধতির পক্ষে যুক্তি দেখাচ্ছেন যে- প্রাকৃতিকভাবে প্রতিরোধের জন্য এই ভাইরাস প্রসারণ করা উচিৎ। কিন্তু, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক গেব্রেয়াসুস বলেছেন, এই পদ্ধতি বৈজ্ঞানিক এবং নীতিগতভাবে সমস্যাযুক্ত।
এই মহামারী শুরু হওয়া থেকে এখন পর্যন্ত তিন কোটি ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। যেখানে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত শতাধিক ভ্যাকসিন পরীক্ষামূলক অবস্থানে আছে কিন্তু কোনটি এখনো আন্তর্জাতিকভাবে অনুমোদন পাইনি।
সোমবার এক সংবাদ সম্মলনে ড. টেডরোস করোনা ভাইরাসের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব নিয়ে নানা ধরণের কথা বলেন। তিনি বলেন, জনগণকে কোন ভাইরাসের থেকে রক্ষার জন্য হার্ড ইমিউনিটির প্রয়োগে কোনমতে তাদেরকে এই সিস্টেমের প্রতি উদ্বুদ্ধ করা ঠিক না।
তিনি আরও বলেন, কোন ইতিহাসে নেই জনস্বাস্থের জন্য কোন মহামারি দূর করতে হার্ড ইমিউনিটি কৌশলগতভাবে ব্যবহার করা হয়েছে।
অনিয়ন্ত্রীতভাবে কোভিড-১৯ ছড়াতে দেয়া মানে হলো অপ্রয়োজনীয় সংক্রমণ, ভোগান্তি এবং মৃত্যুকে অনুমতি দেয়া বলে তিনি অভিমত দেন।