দাঁত ব্রাশ করার সঠিক পদ্ধতি
দাঁত ব্রাশ করার সঠিক পদ্ধতি (ইনসেটে ডা. অনুপম পোদ্দার)
দাঁত মানুষের মূল্যবান সম্পদ দাঁতের সঠিক যত্ন না নেওয়ার কারণে মানুষ নানা ধরনের দন্তরোগ সহ শারীরিক অন্যান্য রোগেআক্রান্ত হয়। এসব রোগের চিকিৎসা অত্যন্ত জটিল ও ব্যয়বহুল। অথচ সঠিক পদ্ধতি তে ও সঠিক সময়ে দাতের যত্ন নিলে জটিলতা এড়ানো যায়।
নিয়ম মেনে দাঁত ব্রাশ করলে নিঃশ্বাসও থাকে সতেজ।
দাঁত ব্রাশ করার সঠিক সময়ঃ
প্রতিদিন সকালে নাশতা করার পর ও রাতে খাওয়ার পর—দুইবার দাঁত ব্রাশ করতে হয়। ঘুম থেকে উঠেই দাঁত ব্রাশ করার দরকার নেই., শুধু পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলা যেতে পারে। দাঁত ব্রাশের সঠিক নিয়ম হলো নরম ব্রিসলযুক্ত (শলাকা) ব্রাশ দিয়ে দুই মিনিট ধরে ব্রাশ করা।
দাঁত ব্রাশ করার সঠিক পদ্ধতি হলোঃ
১. প্রথমে দাঁত ও মাড়ির সংযোগস্থল বরাবর ৪৫ ডিগ্রি অ্যাংগেলে টুথব্রাশটি ধরতে হবে। এরপর অল্প ঘুরিয়ে প্রতিটি দাঁত হাল্কাভাবে ব্রাশ করুন।
২. দাঁতের বাইরের অংশ ও মাড়ি ঠিকমতো পরিষ্কার হচ্ছে কি না নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রতিটি দাঁত একইভাবে বারবার ব্রাশ করুন।
৩. ব্রাশের ব্রিসল দিয়ে পেছনের দাঁতের পেছনের অংশ থেকে সামনে ব্রাশ করুন। এভাবে তিনটি দাঁত ব্রাশের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে।
৪. ব্রাশের ব্রিসল কম্পনের মাধ্যমে পেছন থেকে সামনে আনতে হবে।
৫. একসঙ্গে ১০ বার আলতোভাবে ঘূর্ণন দিতে হবে। তবে মাড়ির যাতে ক্ষতি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
৬. সামনের দাঁতের ক্ষেত্রে প্রতিটি দাঁতের ভেতরের অংশ থেকে কিনারা পর্যন্ত হালকাভাবে ব্রাশ করুন।
৭. ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণু দূর করার জন্য দাঁত ব্রাশের পাশাপাশি জিহ্বাকেও আলতোভাবে ব্রাশ করুন। এরপর ভালোভাবে কুলি করে ফেলুন।
৮. প্রতি বেলা খাওয়ার পর দাঁত ব্রাশ করার প্রয়োজন নেই। তবে ভালোভাবে কুলি করে নিতে পারেন। এতে মুখে আটকে থাকা খাবারের কণাগুলো সরে যায়।
কিভাবে ব্রাশ বাছাই করবেন?
১.ভালো মানের টুথব্রাশ ব্যবহার করতে হবে, যার শলাকাগুলো যেন খুব বেশি শক্ত বা খুব বেশি নরম না হয়, মিডিয়াম নরম ব্রাশ ব্যবহার করতে হবে।
২. প্রতি তিন মাস অন্তর টুথব্রাশ পরিবর্তন করুন।
৩. ব্রাশের শলাকাগুলো বেঁকে গেলেই ব্রাশ বদলে ফেলুন।
৪. মুখে ঘা থাকলে, ঘা সেরে যাবার পর নতুন ব্রাশ ব্যবহার করতে হবে।
৫. শিশুদের ও অসুস্থ রোগীদের ইলেক্ট্রিক্যাল টুথ ব্রাশ ব্যবহার করা ভাল।
পরামর্শ দিয়েছেনঃ
ডা অনুপম পোদ্দার
অধ্যক্ষ
খুলনা ডেন্টাল কলেজ