নিউমোনিয়ার আদ্যোপান্ত
নিউমোনিয়ার আদ্যোপান্ত লিখেছেন ডা. মাহফুজার রহমান বাঁধন
নিউমোনিয়াঃ ফুসফুসের প্রদাহের সাথে যখন Radiological Findings পাওয়া যায়, তখন তাকে নিউমোনিয়া বলে।
♦️ নিউমোনিয়ার কারণঃ
কিছু ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এবং ছত্রাক যেমন..
- Group B streptococcus
- Escherichia coli
- Streptococcus pneumoniae
- Haemophylus influenzae
- Legionella pneumophila
- Respiratory syncytial virus
- Rhinovirus
- Influenza & Parainfluenza virus
- Aspergillus
♦️ নিউমোনিয়ার ঝুঁকিতে যারাঃ
- অতিরিক্ত অপুষ্টি।
- কম বয়সী শিশু।
- যাদের হৃদপিণ্ড ও ফুসফুসের জন্মগত রোগ আছে।
- যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম।
- ঘনবসতি, দূষিত বায়ুতে বসবাসকারীরা।
♦️ নিউমোনিয়ার লক্ষণঃ
-জ্বর।
-কাশি।
-শ্বাসকষ্ট।
-বুকে ব্যাথা।
-সারা শরীরে ব্যথা।
-খাবারের অরুচি।
-ক্লান্তি।
♦️ নিউমোনিয়ার স্থায়ীত্বকালঃ
সাধারণত ২-৩ সপ্তাহ পর্যন্ত। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সেড়ে উঠতে বেশি সময় লাগে..
- বয়স্ক মানুষদের।
- যাদের হৃদপিণ্ড, ফুসফুস বা কিডনির অসুখ আছে।
- যাদের ডায়াবেটিস আছে।
- যারা ঔষধের ডোজ পূর্ণ করে না।
- ক্যান্সার, HIV আক্রান্ত রোগীদের।
♦️ নিউমোনিয়া সনাক্তকরণের পরীক্ষাঃ
- CBC
- CRP
- Blood Culture
- Chest X-ray
- Sputum for gram stain, AFB & Culture
- Pleural fluid aspiration & study
- USG & CT scan of chest
♦️ নিউমোনিয়ার চিকিৎসাঃ
- এন্টিবায়োটিক।
- কাশির ঔষধ।
- জ্বরের ঔষধ।
- ব্যাথানাশক।
- রোগী খেতে না পারলে শিরার মাধ্যমে স্যালাইন অথবা নাকের নল দিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে।
- অক্সিজেন দিতে হতে পারে।
♦️ নিউমোনিয়া প্রতিরোধে করণীয়ঃ
- ধোঁয়া ও ধুলোবালি এড়িয়ে চলা।
- পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস।
- ধুমপান বন্ধ করা।
- শিশুদের ফ্লু ভ্যাক্সিন দেওয়া।
♦️ নিউমোনিয়া রোগীদের যেসব খাবার বেশি দেবেনঃ
-সহজপাচ্য খাবার।
-গরম দুধ।
- তাজা ফলের রস।
- ডাল।
- লেবু।
- সবুজ শাকসবজি।
- গরম স্যুপ
♦️ নিউমোনিয়ায় যেসব খাবার এড়িয়ে চলতে হবেঃ
- ঠাণ্ডা পানি।
- ঠাণ্ডা খাবার।
- খাবারে অতিরিক্ত লবন।
♦️ শিশুদের জন্য বাড়তি কিছু পরামর্শঃ
- ৬ মাস বয়স পর্যন্ত বুকের দুধ খাওয়াবেন।
- নিউমোনিয়া ধরা পড়লে স্যুপ জাতীয় পানীয়, বেশি বেশি তরল খাবার খাওয়াবেন।
- হট কম্প্রেস করবেন।
- লবণ যুক্ত গরম পানির ভেপার দেবেন।
- কোনোরকম জটিলতা দেখলে কালবিলম্ব না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
লেখকঃ
ডা. মাহফুজার রহমান বাঁধন
শিশু বিভাগ, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।