নিউমোনিয়ার আদ্যোপান্ত

ডা. মাহফুজার রহমান বাঁধন
2023-11-12 10:54:49
নিউমোনিয়ার আদ্যোপান্ত

নিউমোনিয়ার আদ্যোপান্ত লিখেছেন ডা. মাহফুজার রহমান বাঁধন

নিউমোনিয়াঃ ফুসফুসের প্রদাহের সাথে যখন Radiological Findings পাওয়া যায়, তখন তাকে নিউমোনিয়া বলে।


♦️ নিউমোনিয়ার কারণঃ

কিছু ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এবং ছত্রাক যেমন..

- Group B streptococcus 

- Escherichia coli

- Streptococcus pneumoniae 

- Haemophylus influenzae

- Legionella pneumophila

- Respiratory syncytial virus

- Rhinovirus

- Influenza & Parainfluenza virus

- Aspergillus


♦️ নিউমোনিয়ার ঝুঁকিতে যারাঃ

- অতিরিক্ত অপুষ্টি।

- কম বয়সী শিশু।

- যাদের হৃদপিণ্ড ও ফুসফুসের জন্মগত রোগ আছে।

- যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম।

- ঘনবসতি, দূষিত বায়ুতে বসবাসকারীরা।


♦️ নিউমোনিয়ার লক্ষণঃ

-জ্বর। 

-কাশি। 

-শ্বাসকষ্ট।

-বুকে ব্যাথা।

-সারা শরীরে ব্যথা।

-খাবারের অরুচি।

-ক্লান্তি।


♦️ নিউমোনিয়ার স্থায়ীত্বকালঃ 

সাধারণত ২-৩ সপ্তাহ পর্যন্ত। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সেড়ে উঠতে বেশি সময় লাগে..

- বয়স্ক মানুষদের। 

- যাদের হৃদপিণ্ড, ফুসফুস বা কিডনির অসুখ আছে।

- যাদের ডায়াবেটিস আছে।

- যারা ঔষধের ডোজ পূর্ণ করে না।

- ক্যান্সার, HIV আক্রান্ত রোগীদের।


♦️ নিউমোনিয়া সনাক্তকরণের পরীক্ষাঃ

- CBC

- CRP

- Blood Culture

- Chest X-ray

- Sputum for gram stain, AFB & Culture

- Pleural fluid aspiration & study

- USG & CT scan of chest


♦️ নিউমোনিয়ার চিকিৎসাঃ

- এন্টিবায়োটিক।

- কাশির ঔষধ। 

- জ্বরের ঔষধ।

- ব্যাথানাশক।

- রোগী খেতে না পারলে শিরার মাধ্যমে স্যালাইন অথবা নাকের নল দিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে।

- অক্সিজেন দিতে হতে পারে।


♦️ নিউমোনিয়া প্রতিরোধে করণীয়ঃ 

- ধোঁয়া ও ধুলোবালি এড়িয়ে চলা। 

- পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস। 

- ধুমপান বন্ধ করা। 

- শিশুদের ফ্লু ভ্যাক্সিন দেওয়া।


♦️ নিউমোনিয়া রোগীদের যেসব খাবার বেশি দেবেনঃ

-সহজপাচ্য খাবার।

-গরম দুধ। 

- তাজা ফলের রস।

- ডাল।

- লেবু।

- সবুজ শাকসবজি।

- গরম স্যুপ 


♦️ নিউমোনিয়ায় যেসব খাবার এড়িয়ে চলতে হবেঃ

- ঠাণ্ডা পানি। 

- ঠাণ্ডা খাবার। 

- খাবারে অতিরিক্ত লবন।


♦️ শিশুদের জন্য বাড়তি কিছু পরামর্শঃ 

- ৬ মাস বয়স পর্যন্ত বুকের দুধ খাওয়াবেন। 

- নিউমোনিয়া ধরা পড়লে স্যুপ জাতীয় পানীয়, বেশি বেশি তরল খাবার খাওয়াবেন। 

- হট কম্প্রেস করবেন।

- লবণ যুক্ত গরম পানির ভেপার দেবেন।

- কোনোরকম জটিলতা দেখলে কালবিলম্ব না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।

 

লেখকঃ


ডা. মাহফুজার রহমান বাঁধন
শিশু বিভাগ, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।


আরও দেখুন: