নীরব ঘাতক অস্টিওপোরোসিস

ডা. মো. আহাদ হোসেন
2023-10-20 09:39:58
নীরব ঘাতক অস্টিওপোরোসিস

অস্টিওপোরোসিস বা হাড় ক্ষয় রোগ (ইনসেটে ডা. মো. আহাদ হোসেন)

২০ অক্টোবর বিশ্ব অস্টিও পোরোসিস দিবস। সচেতনতাই এই রোগ থেকে ভালো থাকার একমাত্র উপায়। অস্টিওপোরোসিসকে অনেকে হাড় ক্ষয় বলে থাকেন। প্রকৃতপক্ষে অস্টিওপোরোসিসে মূলত হাড়ের গঠন দুর্বল হয়ে যায়। আরো সুনির্দিষ্ট ভাবে বলা যায় হাড়ের ভেতরে অসংখ্য বড় বড় ছিদ্র বা পোর তৈরি হয়। ফলে হাড় পাতলা হয়ে যায় এবং ভঙ্গুর হয়ে যায়। আমেরিকার এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে সেখানে ৫০ বছর ও এর উপরে প্রায় ১০ মিলিয়ন লোক অস্টিও পোরোসিসে ভূগছেন এবং এদের মধ্যে নারীদের সংখ্যাই বেশি।

অস্টিওপোরোসিস কেন হয়?

জন্মের পর থেকে মানুষের শরীরে হার সুগঠিত ও মজবুত হতে থাকে ২০-৩০ বছর পর্যন্ত। এরপরে প্রতিবছর ১-১.৫ % শতাংশ হারে হাড়ক্ষয়ের প্রক্রিয়া স্বাভাবিকভাবে শুরু হয়। তবে এটি মহিলাদের ক্ষেত্রে মাসিক চক্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর বা মেনোপজের পরে প্রথম পাঁচ বছর ৩-৫ শতাংশ হারে হার ক্ষয় শুরু হয়। তাই বলা যায় হাড় ক্ষয় একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তাই বয়স বাড়ার সাথে সাথে যদি এই হার ক্ষয়ের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, উপরন্তু কিছু হাড় ক্ষয়ের অতিরিক্ত ঝুঁকি রয়েছে এমন অবস্থা সরীরে দীর্ঘদিন চলতে থাকে তাহলে এটি ধীরে ধীরে অস্টিও পোরোসিস পর্যায়ে চলে যায়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের শরীরের ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বৃদ্ধি করার সাথে সাথে ক্যালসিয়ামকে হারের সাথে সংযুক্ত করার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ভিটামিন “ডি” সাপ্লিমেন্ট আকারে গ্রহণ করার মাধ্যমে এই প্রক্রিয়াকে ধীর গতিতে পরিণত করা যায়।

কারা অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকিতে থাকেন?

১. বয়স বাড়ার সাথে সাথে সকল বয়সের নারী ও পুরুষ অস্টিও পোরোসিসের ঝুঁকিতে থাকেন। তবে এটি নারীর ক্ষেত্রে পুরুষের থেকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ।

২. মহিলাদের ক্ষেত্রে যাদের দ্রুত মাসিক চক্র শেষ হয়ে যায় বা মেনোপজ হয়।

৩. যারা দীর্ঘমেয়াদী পেটের আইবিএস সমস্যায় ভোগেন।

৪. যাদের কিডনি ও লিভার রোগ রয়েছে তারা অস্টিও পোরোসিসের ঝুঁকিতে থাকেন

৫. যারা ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত।

৬. যারা দীর্ঘমেয়াদি অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন করেন।

৭. যারা অধিকাংশ সময় বসে বসে কাজ করেন বা শারীরিক পরিশ্রমের কাজ অনেক কম করেন।

৮. যারা দীর্ঘমেয়াদী ধূমপান করেন।

১০. কিছু কিছু ঔষধ দীর্ঘমেয়াদী সেবনে অস্টিও পোরোসিসের ঝুঁকি রয়েছে যেমনঃ স্টেরয়েড জাতীয় ঔষধ, প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঔষধ সেবন, দীর্ঘমেয়াদী অমিওপ্রাজল বা গ্যাসের ওষুধ সেবন।

অস্টিওপোরোসিস হলে কি হয়?

অস্টিওপোরোসিস মূলত বাইরে থেকে দেখা যায় না। এটি এমন একটি অবস্থা যাতে শরীরের হাড়ের ভেতরের গঠন দুর্বল হয়ে যায়। এর ফলে হালকা আঘাতে হাড় ভেঙে যেতে পারে। চলতে ফিরতে আমরা যে স্বাভাবিক পড়ে যাওয়া বা হালকা আঘাত পেয়ে থাকি সেটা থেকেও বড় ধরনের হাড় ভেঙে যাওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে। যা পরবর্তীতে দীর্ঘমেয়াদি ব্যথার কারণ হতে পারে। বিশেষ করে পায়ের হাড় এবং মেরুদন্ডের হাড় ভেঙে গেলে অধিক কষ্টের কারণ হয়। অস্টিওপোরোসিস হয়ে গেলে রোগীরা ব্যথা অনুভব করেন। অন্যান্য ব্যথা থেকে এই ব্যথা কিছুটা ভিন্ন হয়। যেমন দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে তাদের ব্যথা বাড়ে। হাঁটাহাঁটি বা কাজের মধ্যে থাকলে ব্যথা কিছুটা কমে তবে দীর্ঘক্ষণ হাঁটা বা দীর্ঘক্ষণ ভারী কাজ করলে পরবর্তীতে ব্যথা অনুভব হয়। অনেক রোগী বলে থাকেন সারা দিন শেষে যখন রাতে ঘুমাতে যায় তখন শরীরে ব্যথা অনুভব করে। ব্যথা সাধারণত সারা শরীরেই হয় তবে কোমরে এবং পায়ে ব্যথা বেশি অনুভব হতে পারে। অস্টিও পোরোসিসের সাথে যদি কারো ডায়াবেটিস বা থাইরয়েড এর সমস্যা থাকলে ব্যথার প্রকৃতি আরো বেড়ে যেতে পারে। যেহেতু এই রোগে ব্যথা শরীরের ভেতর থেকে বা হাড়ের গঠনগত কারণে হয় সেই কারণে অনেক পাওয়ারফুল ব্যথার ওষুধ খেলে সাময়িক ব্যথা কমলেও আবার ব্যথা হবে। ব্যথার প্রকৃতি অনুযায়ী চিকিৎসা না দিলে সম্পূর্ণ ব্যথা নিরাময় সম্ভব নয়।

কোন পরীক্ষার মাধ্যমে অস্টিওপোরোসিস বোঝা যায়?

Dexa scan বা BMD টেস্টের মাধ্যমে খুব সহজেই আমাদের শরীরের হাড়ের গঠন এনালাইসিস বোঝা যায়। যে কেউ এই পরীক্ষা করতে পারে। তবে এই পরীক্ষার খরচ একটু বেশি হওয়ার কারণে এটা অনেকেই করান না। তবে মহিলাদের ক্ষেত্রে ৪০ বছরের পরে এই টেস্টটা করা গেলে খুব সহজেই অস্টিও পোরোসিসের ঝুঁকি বোঝা যায় এবং সঠিক পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হয়।

কিভাবে অস্টিওপোরোসিস থেকে ভালো থাকা যায়?

• নিয়মিত কর্মক্ষম থাকা বা এক্সারসাইজ করার মাধ্যমে অস্টিওপোরোসিস বা হার ক্ষয় ধীরগতিতে রূপান্তরিত করা সম্ভব এবং দীর্ঘমেয়াদী ভালো থাকা সম্ভব। গবেষণায় দেখা গিয়েছে ব্যায়ামের মাধ্যমে মেরুদন্ডের হাড়ের ঘনত্ব ৫% বৃদ্ধি করা সম্ভব।

• কিছু কিছু ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়া দরকার যেমন, দীর্ঘমেয়াদী ধূমপান এড়িয়ে চলা, দীর্ঘমেয়াদী গ্যাসের ঔষধ না খেয়ে বরং মাঝখানে একমাস বা দুই মাস বিরতি দিয়ে গ্যাসের ঔষধ সেবন করা যেতে পারে। দীর্ঘমেয়াদী যারা স্টেরয়েড জাতীয় ঔষধ সেবন করেন তাদের ক্ষেত্রেও কিছু সময় বিরতি দিয়ে দিয়ে ঔষধ সেবন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

• বয়স বাড়ার সাথে সাথে ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা খুবই জরুরী। ভিটামিন ডি মূলত আমাদের শরীরের ক্যালসিয়াম হারে সন্নিবেশিত করার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অথচ আমাদের স্বাভাবিক খাবারের ভিটামিন ডি এর উৎস নাই বললেই চলে। অনেকে মনে করেন সূর্যের আলো থেকেই ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। কিন্তু সূর্যের আলো থেকে যেই প্রক্রিয়ায় ভিটামিন ডি পাওয়া যায় সেই যথাযথ প্রক্রিয়া আমরা অনুসরণ করতে পারি না। এজন্য বয়স বাড়ার সাথে সাথে বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে ৪০ বছরের পর থেকেই সাপ্লিমেন্ট আকারে প্রতিদিন ৮00 থেকে ১০০০ IU বা প্রতি সপ্তাহে 20000 IU ভিটামিন ডি চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে গ্রহণ করা যেতে পারে।

• বয়স ৪০ পার হলে নারীদের ক্ষেত্রে ভিটামিন ডি এর মাত্রা দেখে নেয়া যেতে পারে। টেস্ট করা সম্ভব না হলে নিয়মিতভাবে ভিটামিন ডি গ্ৰহন করলেও কোন ক্ষতি নেই। কারণ ভিটামিন ডি শরীরে অতিরিক্ত থাকলে এটা শরীরের সাইড ইফেক্ট সাধারণত করেনা।

বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম দরকার আছে কি?

এই প্রশ্নটি অনেকেই করে থাকেন যে বয়স বেড়ে যাচ্ছে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম খেতে হবে কিনা। অনেকেই নিজের ইচ্ছামতই অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম নিতে থাকেন ঔষধ আকারে। মূলত আমরা যে খাবার খাই এতে বিভিন্নভাবে ক্যালসিয়াম রয়েছে। যে কারণে স্বাভাবিক খাবারের সাথে সাথেই ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ হয়ে যায়। তবে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ কিছু খাবার রয়েছে দুধ বা দুধ দিয়ে তৈরি খাবারে মূলত ক্যালসিয়াম বেশি থাকে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমরা এই খাবারগুলো খেতে পারি। এতে করে ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ হওয়া সম্ভব। ঔষধ আকারে বা সাপ্লিমেন্ট ক্যালসিয়াম গ্রহণ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে করা যেতে পারে।

সাপ্লিমেন্ট ক্যালসিয়াম লাগবে কিনা সেটি চিকিৎসক এক্সরে দেখে ধারণা করতে পারেন অথবা প্রয়োজনে রক্তে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ দেখেও এ বিষয়টা নির্ধারণ করা যায়। কিন্তু আমরা যে ক্যালসিয়াম শরীরে নিচ্ছি সেটাকে কাজে রূপান্তরিত করতে বা হারে সন্নিবেশিত করার জন্য ভিটামিন ডি এর প্রয়োজন। ভিটামিন ডি স্বাভাবিক খাবারের পাওয়া যায় না। সামুদ্রিক কিছু খাবারে ভিটামিন ডি রয়েছে যেগুলো আমরা সচরাচর খাই না। এজন্য সাপ্লিমেন্ট আকারে বা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ভিটামিন ডি নিয়মিত গ্রহণ করা যেতে পারে।

খাবারের মাধ্যমে বা ঔষধ আকারে সাপ্লিমেন্ট ক্যালসিয়াম গ্রহণ করলে কিডনিতে পাথর হওয়া সম্ভবনা আছে কিনা?

অনেকেই চিকিৎসক ক্যালসিয়াম পরামর্শ দিলেও নিজেরা খান না। তারা মনে করেন অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম খেলে কিডনিতে পাথর হতে পারে। তাদের এই ধারণাটি সঠিক ব্যাখ্যা আছে। মূলত আমরা যে খাবার খাই সেগুলোর মধ্যে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেলে ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ হয়। ক্যালসিয়াম শরীরে ঢোকার পরে সেটা কিডনিতে যেতে হলে অক্সালেট এর সাথে সংযুক্ত হতে হয়। তাই আমরা ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ যে খাবার খায় সেগুলোর মধ্যে অক্সালেট মুক্ত খাবার গ্রহণ করলে কিডনিতে পাথর হওয়া সম্ভবনা থাকে না। অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম অক্সালেট সমৃদ্ধ খাবার যেমন বাদাম, বিট, চকলেট সয়ামিল্ক খাবারগুলো অতিরিক্ত গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকলেই ভালো। তবে এগুলো যে একেবারেই খাওয়া যাবে না বিষয়টা এমন নয়। পরিমিত পরিমাণে সময়ের সময়ে খেলে কোন ক্ষতি নেই। আর সাপ্লিমেন্ট আকারে চিকিৎসকরা যে ক্যালসিয়াম দিয়ে থাকেন তাতে সাধারণত ক্যালসিয়াম অক্সালেট সমৃদ্ধ ক্যালসিয়াম দেয়া হয় না। যে কারণে এতে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভবনা অনেক কমে যায়। তাই সঠিক চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া দোকান থেকে নিজের ইচ্ছামত ক্যালসিয়াম গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকলে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম গ্রহণ থেকে কিডনিতে পাথর হওয়ার ভয় কমে যাবে।

ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবারঃ

ক্যালসিয়াম হাড়ের জন্য একটি অপরিহার্য ভিটামিন। সাধারণ পরিস্থিতিতে, প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন ৮00 মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম প্রয়োজন। এ জন্য বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন সুষম খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন। দুধ, পনির ও অন্যান্য দুগ্ধজাত খাবার, ইয়োগার্ট, সয়ামিল্ক, সবুজ শাক-সবজি যেমন ব্রোকলি, বাঁধাকপি ও ওকড়া, সয়াবিন বিভিন্ন ধরনের মাছ, শ্যামন মাছ ও কমলা ক্যালসিয়ামের উৎকৃষ্ট উৎস।

অস্টিওপোরোসিস রোধে কার্যকরী ব্যায়াম

• প্রতি সপ্তাহে তিন দিন ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট পর্যন্ত হাটা।

• যারা হাঁটার কাজ করতে পারছেন না তাদের ক্ষেত্রে প্রতি সপ্তাহে তিন দিন 30 মিনিট করে সিঁড়িতে উঠানামা করা।

• সপ্তাহে তিন দিন বা তার অধিক সময় প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ মিনিট করে সাঁতার কাটা।

• সপ্তাহে তিন দিন বা তার অধিক সময় প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে সাইকেল চালানো।

• যারা জিমে যেয়ে ব্যায়াম করতে অভ্যস্ত তাদের ক্ষেত্রে অঙ্গ প্রত্যঙ্গের নাড়াচারা জনিত প্রত্যেকটি ব্যায়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ

যেহেতু হাড় ক্ষয় আমাদের শরীরের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তাই বয়স কালে অনেকেই এই হাড় ক্ষয়ের সমস্যায় ভুগতে পারেন এটা অস্বাভাবিক নয়। তবে যদি কেউ অতিরিক্ত হাড় হয় বা অস্ট্রিও পোরোসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে যান তাহলে কয়েকটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

• স্বাভাবিক চলাফেরায় জুতা বা কেডস ব্যবহার করতে হবে।

• পড়ে যাওয়া থেকে নিরাপদ থাকতে বাথরুম পরিষ্কার রাখতে হবে এবং বাসায় চলাচলের জায়গা পরিষ্কার ও পিচ্ছিল মুক্ত রাখতে হবে।

• উঁচু নিচু জায়গায় চলাচল বিরত রাখতে হবে।

• অস্বাভাবিকভাবে ঝুঁকে কাজ করা বা অস্বাভাবিকভাবে শরীরকে বাঁকিয়ে কোন কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

• বেশি দূরত্বে ভ্রমণের ক্ষেত্রে আরামদায়ক যানবাহন ব্যবহার করতে হবে। পাবলিক যানবাহন ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাথে কোন সাহায্যকারী থাকলে ভালো হয়।

লেখক ঃ

ডা. মো. আহাদ হোসেন
এমবিবিএস, বিসিএস, এমডি, এফআইপিএম (ইন্ডিয়া)
কনসালটেন্ট ও ব্যথা বিশেষজ্ঞ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ফরিদপুর
চেম্বারঃ ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক ও কনসালটেশন সেন্টার, লালবাগ,ঢাকা।


আরও দেখুন: