শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশে বাদামের ভূমিকা
৫ বছর বয়সের আগে শিশুকে আস্ত বাদাম খাওয়ানো শুরু করা যাবে না (ইনসেটে লেখক)
শিশুদের সামগ্রিক বিকাশের জন্য বাদাম খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং উপাদেয় একটি খাবার। এটি শিশুদের তাৎক্ষণিক শক্তি বৃদ্ধি করে এবং ক্লান্তিভাব দূর করে। কাজুবাদাম, আখরোট, আলমন্ড, পেস্তা বাদাম, চীনাবাদামসহ সব ধরনের বাদামই শিশুদের জন্য বেশ উপকারী।
* বাদাম প্রোটিন এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিডের উৎকৃষ্ট একটি উৎস। এটি শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে।
* বাদামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই থাকে যা শিশুর স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে।
* রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
* শিশুর পরিপাকতন্ত্রকে শক্তিশালী করে তোলে।
* কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে।
* রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে এবং অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধি করে।
* রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়।
* বাদামে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস থাকে। এটি শিশুদের দাঁত ও হাড়ের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
* মাংসপেশি মজবুত করে।
* ওজন নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৫ বছর বয়সের আগে শিশুকে আস্ত বাদাম খাওয়ানো শুরু করা যাবে না। ৫ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বাদাম বেটে নিয়ে বা গুড়ো করে খাওয়াবেন। এলার্জি বা হজমে সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বাদাম খাওয়ানো বন্ধ করে দেবেন।
লেখক :
ডা. মো. মাহফুজার রহমান বাঁধন
শিশু বিভাগ, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।