সন্তানের সাথে বাবা-মায়ের যেসব কাজ করা জরুরি
সন্তানের সাথে বাবা-মায়ের যেসব কাজ করা জরুরি
আজকাল বাবা-মা দুজনই ব্যস্ত থাকেন। শিশুদের সাথে বেশি সময় কাটানোর সময় হয়ে ওঠে না। কিন্তু শিশুর মানসিক বিকাশে বাবা-মায়ের সাহচর্য খুবই জরুরি।
এখনকার শিশুদের বেশিরভাগ সময় কাটে পড়াশোনা করে। এটা ঠিক, পড়াশোনা সব বয়সের শিশুদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি তাদের কল্পনাশক্তির বিকাশ ঘটায় এবং মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে। একইভাবে, বন্ধুদের সাথে বাইরে খেলা শিশুদের শারীরিকভাবে সক্রিয় রাখার সর্বোত্তম উপায়। এছাড়া যখন শিশুদের স্কুল বন্ধ থাকে ওই সময়গুলোতে ছবি আঁকা, সাইকেল চালানো, অন্যদের সঙ্গে মেলামেশা করতে শিশুকে উৎসাহিত করতে পারেন। এ ব্যাপারে বাবা-মায়েরই উদ্যোগী হতে হবে।
ভারতীয় সাইক্রিয়াটিস্ট ডা. জ্যোতি কাপুর শিশুর মানসিক বিকাশে সন্তানের সাথে বাবা-মায়ের প্রতিদিন যেসব কাজ করা জরুরি তা জানিয়েছেন ভারতীয় গণমাধ্যম ‘হিন্দুস্তান টাইমসে’।
একসাথে পড়ুন: পড়া শিশুদের কল্পনাশক্তি, ভাষা দক্ষতা বাড়াতে এবং জ্ঞান বিকশিত করতে সাহায্য করে। একসাথে পড়ার জন্য প্রতিদিন কিছু সময় আলাদা করুন। ছবির বই বা গল্পের বই যাই হোক না কেন শিশুকে পড়ে শোনান। তাকে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন এবং গল্প নিয়ে আলোচনা করুন। এতে তার জ্ঞান বাড়বে, পাশাপাশি পড়ার প্রতি আগ্রহও তৈরি হবে।
বাইরে খেলাধূলা: শিশুদের সামগ্রিক সুস্থতার জন্য শারীরিক ক্রিয়াকলাপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পার্কে খেলা, বাইক চালানো, ক্যাচ খেলা যাই হোক না কেন প্রতিদিন বাইরে খেলতে তাদের উৎসাহিত করুন। বাইরে খেলা শিশুর শারীরিক সুস্থতা, সামাজিক মেলামেশায় উৎসাহিত করবে।
সৃজনশীল সময়: শিশুদের সৃজনশীল কাজে উৎসাহিত করতে আলাদা সময় বের করুন। তাদের সঙ্গে মিলে ছবি আঁকুন,ব্লক দিয়ে বিল্ডিং তৈরি করুন। এসব কাজ আপনার সন্তানের সৃজনশীলতা , সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বাড়াবে। তাদের কল্পনাশক্তি বাড়াতে উৎসাহিত করুন। শিশুদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে তার প্রশংসা করুন।
পারিবারিক খাবারের সময়: একসাথে খাওয়া শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসই গড়ে তোলে না বরং দৃঢ় বন্ধনও তৈরি করে। প্রতিদিন কমপক্ষে একবেলার খাবার পরিবারের সবাই মিলে একসাথে খান। এ সময় শিশুদের সাথে নানা বিষয়ে গল্প করুন।
শিক্ষা কার্যক্রম: সন্তানদের বুদ্ধি বাড়াতে তাদেরকে নানারকম শিক্ষামূলক কার্যকলাপে যুক্ত করুন। এর মধ্যে ধাঁধা সমাধান করা, শিক্ষামূলক গেম খেলা, মৌলিক গণিত দক্ষতার অনুশীলন করা অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। এই কাজগুলো তাদের বয়স এবং আগ্রহ অনুসারে তৈরি করুন। তাদের শেখা যাতে মজার হয় সেটা নিশ্চিত তরুন।
কাজ এবং দায়িত্ব: বয়স অনুযায়ী বাড়ির কাজে শিশুদের যুক্ত করুন। এটি তাদের গুরুত্বপূর্ণ জীবন দক্ষতা- যেমন সংগঠন, দলবদ্ধ কাজ এবং জবাবদিহিতা করতে শেখায়। তাদের মধ্যে ঘর গোছানো, টেবিল সেট করা বা লন্ড্রিতে সাহায্য করার মতো কাজগুলি বরাদ্দ করুন। তাদের কাজের প্রশংসা করুন।
সময় কাটানো: সন্তানদের সাথে ভালো সময় কাটান। এটি হতে পারে বোর্ড গেম খেলা, পারিবারিকভাবে বেড়াতে যাওয়া, সিনেমা দেখা বা তাদের শখের কোনো কাজে সম্পৃক্ত থাকা। এতে সন্তানের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক দৃঢ় হবে।