ওজন বাড়ার কারণ জানুন
প্রতিদিন ব্যায়াম করুন
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন, যারা দীর্ঘ সময় ধরে চেষ্টা করেও ওজন কমাতে পারছেন না। উল্টো ক্রমাগত ওজন বেড়েই চলেছে। মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে কেন এমন হচ্ছে? আর এর কারণ কী?
অলস সময় কাটানো
আলসেমির প্রভাব শরীরের ওপরও পড়ে। পরিমিত খাবার এবং নিয়মিত শরীরচর্চা করেও ওজন কমানো কঠিন, যদি দিনের বেশি সময় কাটে আলসেমি করে। তাই দিনের নির্দিষ্ট সময় ব্যায়াম করলেও বাকি সময়টা শুয়ে-বসে না থেকে কোনো না কোনো কাজ করে নিজেকে ব্যস্ত রাখা প্রয়োজন।
খাবারের পরিমাণকে প্রাধান্য দেওয়া
অনেকে মনে করেন, কম খাবার খেলেই ওজন কমবে। ভাবনামতো খাবারের পরিমাণও কমিয়ে ফেলেন। কিন্তু খাবারের পুষ্টিগুণ না জেনে খাবার কম খেলে শরীরে বিভিন্ন ঘাটতি দেখা দেয়। পরে শরীরে অন্যান্য সমস্যা সৃষ্টি হয়ে ওজন কমানো আরও কঠিন হয়ে পড়ে।
তাই ওজন কমাতে হলে প্রথমেই অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত খাবার যেমন, তেলে ভাজা খাবার, মিষ্টি জাতীয় খাবার এবং মাটির নিচে যেসব সবজি হয়, খাদ্যতালিকা থেকে সেগুলো বাদ দিতে হবে। শরীরে পুষ্টির চাহিদা পূরণে সবুজ শাকসবজি, কম তেলে রান্না খাবার এবং জটিল কার্বোহাইড্রেট আছে, এমন খাদ্যকে তালিকায় আনতে হবে। এরপর আসবে পরিমাণ কমানো অর্থাৎ কতটুকু খেতে হবে।
ভাত সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া
আমাদের প্রধান খাদ্য ভাত। অনেকেই মনে করেন, ভাত ওজন বাড়ায়। এটি একদমই সত্যি নয়। এই পদ্ধতিতে ওজন কিছুটা কমলেও খুব দ্রুত আবার তা পূরণ হয়ে যায়। তাই শরীরে ওজন এবং উচ্চতা অনুযায়ী প্রত্যেকের খাদ্যতালিকায় পরিমাণমতো ভাত অথবা রুটি রাখা উচিত।
যা পরিবর্তন করা যেতে পারে তা হলো, সাদা চালের পরিবর্তে লাল চালের ভাত। রুটির ক্ষেত্রে লাল আটার রুটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। সাধারণ কার্বোহাইড্রেটের পরিবর্তে জটিল কার্বোহাইড্রেট খাওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া খাবারে আমিষের পরিমাণ বাড়াতে হবে। কোনোভাবেই কার্বোহাইড্রেট সম্পূর্ণ বন্ধ করা যাবে না। তবে পরিমাণ কিছুটা সীমিত করতে হবে।
প্রতিদিন ব্যায়াম না করা
অত্যন্ত নিয়ন্ত্রিত খাবার খেলেও তার পাশাপাশি ব্যায়ামও করতে হবে। না হলে শরীরের ওজন কমার পরিবর্তে উল্টো বেড়ে যাবে। খাবারে যা-ই থাকুক, অতিরিক্ত ক্যালরি খরচ করতে প্রতিদিন অবশ্যই ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা ব্যায়াম করতে হবে। নিজের পছন্দের অন্য কোনো ব্যায়ামও বেছে নিতে পারেন।
দীর্ঘ সময় ধরে না খেয়ে থাকা
এ ধরনের অভ্যাস ওজন কমানোর পথের অন্যতম বাধা। ওজন কমানোর মূল মন্ত্র হচ্ছে, অল্প পরিমাণ খেতে হবে, কম ক্যালরিযুক্ত খাবার, বারবার। দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকলে আমাদের ক্ষুধার মাত্রা অনেক বেড়ে যায়। খাওয়ার সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা তখন অনেক বেশি কঠিন হয়ে পড়ে।