একাকিত্ব থেকে মুক্তির উপায়
মানসিক সমস্যা , পঙ্গু বা আর্থিকভাবে দুর্বল ব্যক্তিদের একাকিত্বের ঝুঁকি বেশি
একাকিত্ব, সামাজিক নিঃসঙ্গতা ও বিচ্ছিন্নতার ফলে মানুষের হৃদরোগ, স্ট্রোক, বিষণ্নতা বাড়ে। গবেষণা বলছে, একাকিত্বের কারণে অকাল মৃত্যুর পরিমাণ বেড়েছে ২৬ শতাংশ। এছাড়াও এটিকে দিনে ১৫টি সিগারেট খাওয়ার চেয়েও ক্ষতিকর বলে উল্লেখ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। একাকিত্ব ও সামাজিক বিচ্ছিন্নতার প্রভাব সবার ওপর সমানভাবে পড়ে না। জীবনধানের পদ্ধতি, বিভিন্ন অভ্যাসের পরিবর্তনের মাধ্যমে মিলতে পারে একাকিত্ব থেকে মুক্তি।
সাম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ব্রিগহাম ইয়ং ইউনিভার্সিটির সাইকোলজি ও নিউরোসায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. জুলিয়ান হল্ট-লান্সটেড একাকিত্ব থেকে মুক্তির তিনটি উপায় বলেছেন।
সম্পর্ক লালন করা
সামাজিকভাবে কর্মক্ষম থাকা মানে শারীরিকভাবেও কর্মযজ্ঞে থাকা। একদিন ব্যায়ামাগারে দেহের কোনো পরিবর্তন হয়। এজন্য বার বার যেতে হয়। তেমনি আমাদের সম্পর্কগুলো একদিনে তৈরি হয় না, প্রতিনিয়ত যোগাযোগের মাধ্যমে সম্পর্কগুলো পূর্ণতা পায়। তাই যারা আশপাশে আছেন তাদের খবর রাখা, ম্যাসেজে টেক্সট দেওয়ার মতো কাজ গুলো চালাতে হবে।
পছন্দের দলে যোগ
অনেকের সমন্বয়ে গড়া একটি দলে যোগ দিতে পারলে নানান ধরনের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ ঘটবে। দেখা যেতে পারে, তাদের মতাদর্শ ভিন্ন। বিভিন্নজন বিভিন্ন জায়গা থেকে এসেছেন। এক্ষেত্রে লক্ষ্য উদ্দেশ্য এক হলেও, বৈচিত্র্যতা আসবে। ফলে ‘আমি বনাম তারা’ এই অনুভূতির জায়গায় বাড়বে বিশ্বাস ও ইচ্ছাশক্তি।
অন্যদের সেবা
গবেষণায় দেখা গেছে, কাউকে সাহায্য করার মানে নিজেই সাহয্যটা ফেরত পাচ্ছেন। হতে পারে স্বেচ্ছাসেবক হয়ে কোনো কিছুতে জড়ানো কিংবা নিজের একক প্রচেষ্টায় কারও প্রতি দয়াশীল আচারণ দেখানো। সাহায্য চাওয়া কঠিন। তবে অন্যকে সাহায্য করার মাধ্যমে সেই কঠিন গণ্ডি ভেঙে অধিকার বুঝে নেওয়ার অনুভূতি জোরদার করা যায়।